হক্কানী ওলীআল্লাহগন উনারাই প্রকাশ্যে বাহাছের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে থাকেন
শিরক করা কবিরা গুনাহ তা সকলেরই জানা। সুতরাং ওলীআল্লাহগণ শিরকসহ যাবতীয় হারাম থেকে বেঁচে থেকে সমস্ত সুন্নাতগুলো পালন করে থাকেন। সেই সুন্নত মুবারকসমূহ পালনের ধারাবাহিকতায় পবিত্র ও সম্মানিত লক্বব মুবারক পালন করার কারণে হিংসার বশবর্তী হয়ে কিছু ওহাবী, খারেজী, বাতিল ফেরক্বার লোকেরা পবিত্র লক্বব মুবারক সমূহের বিরোধীতা করে থাকে এবং মিথ্যা অপপ্রচার করে থাকে। হক্ব ও বাতিল ফিরকার মাঝে দ্বন্দ্ব হলে, বাতিল ফিরকার সামনে যাবতীয় দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করার পরও সে যদি হঠকারিতা করে, তবে তাকে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে বর্ণিত মুবাহালার জন্য আহবান করা হবে। মূলত মুবাহালাই হলো প্রকাশ্য বাহাছ। মূলত বাতিলরা হকের বিরোধীতা করার কারণে ওলীআল্লাহগণ উনারা মুবাহালার সেই সুন্নত মুবারকও পালন করেন।
ফিক্বাহ শাস্ত্রের পরিভাষায় একটি বিষয় উল্লেখ রয়েছে; ‘কিল্লতে ইলম ওয়া কিল্লতে ফাহম’ অর্থাৎ ‘কম জ্ঞান ও কম বুঝ’ আর এটাই ফিতনার মূল কারণ। বিশিষ্ট বুযূর্গ ফার্সি কবি আল্লামা শায়েখ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যথার্থই বলেছেন: ‘যতক্ষণ কেউ কথা না বলে ততক্ষণ তার দোষগুণ কোনটাই প্রকাশ পায় না।’
সম্প্রতি নামধারী বংশপরীচয়হীন তথা ঠিকানাবিহীন তথাকথিত ‘উলামা পরিষদের’ নাম দিয়ে ঢাকা রাজারবাগ শরীফ মুুহিব্বীনদের সাথে বাহাছ করার দুঃসাহস করে। সেখানে তারা যেসব বিষয় নিয়ে বাহাছ করতে চেয়েছে, সেসব বিষয়ে লিখিত জাওয়াব বহু আগেই যামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ উনার মধ্যে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় উক্ত সকল বিষয়ে রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উনার ওয়াজ-নছীহত শরীফের মধ্যে জাওয়াব ও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যার ফলে নতুন গজানো বাহাছকারীদের যারা মুরুব্বী তারা বাহাছ করার কথা মুখে উচ্চাণের দুঃসাহস করতে পারেনি-পারেনা। মূলত তাদের ছোটছোট নগণ্য চেলারা বাহাছের কথা বলে লোক সমাজে নিজেদের অজ্ঞতা ও গোমরাহী ঢাকতে চায়।
উল্লেখ্য রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তরফ থেকে বলা হয়েছিল, উনার সাথে বাহাছ করতে হলে উনার বিরোধীতাকারীদের যারা প্রধান তাদেরকে বাহাছে উপস্থিত থাকতে হবে এবং যে বাহাছ অনুষ্ঠিত হবে কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে নয় বরং দেশের রাজধানী ঢাকায়। যাতে করে বারবার নয় বরং একবারেই হক্ব-বাতিল পার্থক্য হয়ে যায়। কিন্তু তাদের কোনরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে ১৯৯৬ সালে শ্রীমঙ্গলে রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সিলেটে মাহফিল করতে গেলে সেখানের ক্বওমী-দেওবন্দীপন্থী কিছু মালানা মাহফিল ইন্তেজাম কমিটিকে বাহাছের জন্য বলে এবং কমিটির ব্যবস্থাপনায় বাহাছ অনুষ্ঠিত হয় এবং বাহাছে তারা শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে। পরে তাদের ঢাকাস্থ মুরুব্বীরা তাদেরকে ডেকে নিয়ে এসে ধিক্কারমূলক শাসন করে এবং ভবিষ্যতে রাজারবাগ দরবার শরীফের মুহিব্বীনদের সাথে বাহাছ করতে অস্বীকৃতি জানাতে বাধ্য করে।
তবুও সমস্ত বাতিল ফিরকার লোকেরা পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ ও উনার তাজদীদ মুবারকগুলো সম্পর্কে মিথ্যাচার করে থাকে। তাই মুহইউস সুন্নাহ, সাইয়্যিদুনা মুজাদ্দিদে আ‘যম আলাইহিস সালাম তিনি সমস্ত বাতিলদেরকে দমন ও নিশ্চিহ্ন করার জন্য পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণে মুবাহালা তথা প্রকাশ্য বাহাছের আহবান করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, রাজারবাগ শরীফ উনার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে বাহাছ করার যোগ্য কোন বাতিল ফেরকা তো নয়ই বরং পৃথিবীতে কেউ নেই। কারণ এ যামানায় একমাত্র তিনিই হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদ ও নায়িব, হক্কানী ওলীআল্লাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
যার কারণে উনার নগন্য মুরীদরাই সমস্ত বাতিল ফিরক্বার বিরুদ্ধে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে, যেকারো সাথে বাহাছ করার জন্য যথেষ্ট। ইনশাআল্লাহ!
রাজারবাগ শরীফ থেকে বাহাছের চ্যালেঞ্জ
হক্ব নাহক্ব এর বিরোধীতা সৃষ্টির শুরু থেকেই ছিলো। কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম, হযরত সাহাবায়েকিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সকলের বিরোধীতা হয়েছে।
আখেরী রাসুল, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও বিরোধীতা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় উদাহরন হলো কারবালার উদাহরন। মুসলিম নামধারী কিছু কাফির নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদ হযরত ইমামুল হুমাম ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে নির্মমভাবে শহীদ করেছে। যদি হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার বিরোধীতা হয়, উনাকে শহীদ হতে হয়, তাহলে জমিনে তো আর কেউ বিরোধীতা বা চক্রান্ত থেকে নিরাপদ নয়।
রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদক্বিবলা উনি খালিছ ওলী আল্লাহ। যিনি বিশ্ববিখ্যাত হক্ব সীলসীলা ফুরফুরা শরীফ সীলসীলার খিলাফত প্রাপ্ত। উনার ইলমের সামান্যতম উদাহরনঃ উনি কুরআনে হাফেজ, হাদীছে হাফেজ, অসংখ্য তাফসীরের হাফেজ, ফিক্বাহ শাস্রের হাফেজ । উনার ইলমের গভীরতা উনার মজলিসে উপস্থিত না হলে অনুধাবন করা কখনো সম্ভব নয়, সাধারন মানুষের কল্পনার বাহিরে। যিনি কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস এর উপর পরিপূর্ন প্রতিষ্ঠিত। উনার তা’লীমের মাধ্যমে হাজার হাজার লোক কুফরী হারাম ছেড়ে দিয়ে সুন্নতের পাবন্দ হয়েছেন, সুফী হয়েছেন। প্রতিনিয়ত দেশ বিদেশে অনেক লোক মুসলমান হচ্ছেন, সুফী-আল্লাহ ওয়ালা হচ্ছেন।
বেশ কিছু বৎসর থেকে কিছু লোক উনার শানে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে যাচ্ছে।যার প্রত্যেকটা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং কল্পনা প্রসূত।
আমাদের পত্রিকা, মাহফিলগুলোতে অনেকবার ঘোষনা দেয়া হয়েছে, “ আমাদের কোন আক্বীদা আ’মল কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াসের খিলাফ কেউ প্রমান (কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াসের দ্বারা) করতে পারলে আমরা প্রকাশ্যভাবে তওবা করে ছেড়ে দেবো।”
আমরা চাই সত্যটা প্রকাশিত হোক। প্রকাশ্য বাহাছের মাধ্যমে সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হোক।
কারন, ফিৎনা কতলের চেয়ে ও বড় অপরাধ। ফিৎনা,প্রোপাগান্ডা না করে সত্যটা প্রতিষ্ঠা করাই হক্ব তালাশীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
অতএব, যারা রাজারবাগ শরীফের সম্পর্কে ব্যতিক্রম ধারনা রাখেন, তারা যেন এ বাহাছের আহবানে সাড়া দিয়ে সত্যটা প্রমান করেন। বাহাছের শর্তাবলী এই লিংকে।
বাহাছে না এসে প্রোপাগান্ডা করা হবে জুলুমের শামিল। আর যারা জুলুম করে, তারা জালিম হিসেবে সাব্যস্ত। জালিমের শাস্তি ও পরিনাম আল্লাহপাক কুরআন শরীফে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন।
আমাদের বলা দায়িত্ব মানার দায়িত্ব যার যার।
ঠিকানা:
রাজারবাগ দরবার শরীফ
৫, আউটার সার্কুলার রোড,
রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা-১২১৭
রাজারবাগ শরীফ থেকে প্রকাশ্যে বাহাছের চ্যালেঞ্জ
হক্বের বিরোধীতা সৃষ্টির শুরু থেকে কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। আর এটা হচ্ছে একটা স্বাভাবিক নিয়ম। নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রত্যেকেরই বিরোধীতা হয়েছিল। স্বয়ং আখেরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও বিরোধীতা হয়েছে। পরবর্তীতে হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের, ইমাম-মুজতাহিদ এবং আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাহি উনাদের ও বিরোধীতা হয়েছিলো। এর ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে কিয়ামত অবধি।
একই ধারাবাহিকতায় খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল, আস সাফফাহ সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ও বিরোধীতায় লিপ্ত রয়েছে কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী, মুনাফিক, গোমরাহ, কাফির-মুশরিকদের উচ্ছিষ্ট ভোগী।
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল, আস সাফফাহ সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম যমানার লক্ষস্থল ওলী আল্লাহ। সে কারনেই উনি কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ইজমা এবং ক্বিয়াস এর উপর পরিপূর্ন প্রতিষ্ঠিত।
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল, আস সাফফাহ সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি বেমেছাল বিনয়ের অধিকারী। তাইতো ইতিপূর্বে বহুবার মুবারক আলোচনায় বলেন,”আমাদের কোন আক্বীদা-আ’মল যদি শরীয়তের খিলাফ কেউ প্রমান করতে পারে (কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস দ্বারা), তা অবশ্যই আমরা ছেড়ে দেবো।”
যদি এরা হক্ব চায় এবং এদের এতই হিম্মত থাকে তাহলে গোপনে ষড়যন্ত্র, কুটচাল না করে সামনা সামনি যেন তাদের দাবীগুলো (কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস দ্বারা) প্রমান করে। যদি তারা বাহাছ গ্রহন না করে এবং ব্যতীত বিরোধীতায় লিপ্ত থাকে তাহলে তাদের এসকল কর্ম তাদেরকে নমরূদ, ফিরাউন, উবাই বিন সুলুল ইত্যাদির উত্তরসূরি হিসেবে প্রমান করবে।
বাহাছের বিষয় ও শর্তসমূহঃ
১. যারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চায় এবং বাহাছে বসতে চায় তাদেরকে অবশ্যই মুহাক্কিক আলিম হতে হবে। মুহাক্কিক্ব আলিম বলতে- যারা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সমন্ধে জানেন এবং সে অনুসারে আমল করেন। সুন্নতের পূর্ণপাবন্দ ও খোদাভীতি, পরহেযগারী যাদের রয়েছে তাদেরকে বুঝাবে।
২. উভয়পক্ষের ৫ (পাঁচ) জন আলিম আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে সহকারী হিসেবে সর্বোচ্চ ১২ (বার) জন উপস্থিত থাকতে পারবে।
৩. বাহাছের মানদ- হবে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস।
৪. বিরোধীপক্ষ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের নির্ভরযোগ্য দলীলের মাধ্যমে প্রমাণ করবে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরের তৈরি নন; বরং মাটির তৈরি। (নাঊযুবিল্লাহ)
৫. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের ভিত্তিতে আরো প্রমাণ করবে যে, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম নাজায়িয, হারাম ও শিরক।
৬. তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যে, ফরয নামাযের পরে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা বিদয়াত ও হারাম।
৭. আমরা যে পদ্ধতিতে মীলাদ শরীফ পাঠ করি তার মধ্যে কোন বিষয়টি নাজায়িয- তা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের ভিত্তিতে প্রমাণ করতে হবে।
৮. তাদেরকে আরো প্রমাণ করতে হবে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ‘ইলমে গাইব’-এর অধিকারী নন।
৯. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের ভিত্তিতে আরো প্রমাণ করবে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় রূহানীভাবে হাযির ও নাযির হতে পারেন না এবং ছিফতীভাবেও সর্বত্র হাযির-নাযির নন।
১০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের মাধ্যমে তাদেরকে আরো প্রমাণ করতে হবে যে, বর্তমান যামানার মহান মুজাদ্দিদ, ইমামুল আইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস ব্যতীত আমল করে থাকেন এবং আরো প্রমাণ করতে হবে যে, উনার কোন লিখনী ও ওয়াজ শরীফ-এ বলা আছে যে, হজ্জকে অস্বীকার করেছেন? যদি উক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে প্রমাণ করতে না পারে তাহলে অবশ্যই জনসম্মুখে বিরোধী পক্ষ নাহক্ব, মিথ্যাবাদী এবং গুমরাহ বলে নিজেদেরকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং জনসম্মুখে খালিছভাবে তওবা করে রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার হাত মুবারকে বাইয়াত হতে হবে।
১১. যারা বাহাছের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চায় তাদের আক্বীদা ও আমলের দলীল উক্ত মানদ- সাপেক্ষে পেশ করতে হবে। যেমন ইসলামের নামে ভোট নির্বাচন, গণতন্ত্র, মৌলবাদ দাবী করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, হরতাল, লংমার্চ করা, বেপর্দা হওয়া, ছবি তোলা, যাবতীয় খেলা জায়িয বলা, টিভি দেখা এবং তাদের প্রোগ্রাম করা ইত্যাদি আক্বীদা ও আমলের দলীল পেশ করতে হবে। যদি দলীল পেশ করতে না পারে, তাহলে তারা বিদয়াতী, বাতিল ও গুমরাহ হিসেবে সাব্যস্ত হবে এবং যারা এগুলো সমর্থন করবে তারাও বাতিল বলে গণ্য হবে।
১২. বাহাছ প্রকাশ্য ও সুবিধাজনক স্থানে ব্যাপক প্রচার-প্রসার করে নির্দিষ্ট সময়ে হতে হবে।
১৩. বাহাছের দুই মাস পূর্বেই চুক্তিনামায় আবদ্ধ হতে হবে। অর্থাৎ চুক্তি হওয়ার কমপক্ষে দুই মাস পর বাহাছ অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. নিরপেক্ষ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বাহাছ অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রশাসন বলতে জেলার ডিসি, এসপি, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ইত্যাদি নিরাপত্তা পরিষদকে বুঝাবে।
১৫. যারা প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চায়, তারাই নিরপেক্ষ প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তার জন্য লিখিত অনুমতি নিবে।
১৬. নিরপেক্ষ প্রশাসনের উক্ত লিখিত নিরাপত্তার জন্য অনুমতিপত্র বাহাছ অনুষ্ঠিত হওয়ার ১৫ দিন পূর্বেই প্রতিপক্ষকে তার ১ কপি জমা দিতে হবে।
১৭. নিরপেক্ষ প্রশাসনের উক্ত লিখিত নিরাপত্তার জন্য অনুমতিপত্র সঠিক কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে গ্রহণযোগ্য হবে।
১৮. উক্ত নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের জন্য লিখিত অনুমতিপত্র তদন্তে সঠিক হলে বাহাছ অনুষ্ঠিত হবে।
১৯. উভয় পক্ষের বক্তব্য রেকর্ড করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
২০. উভয়পক্ষের তরফ হতে বাহাছের সমস্ত খরচ বহন করা হবে। তবে যারা পরাজিত হবে তারা বিজয়ীদের সমস্ত খরচ পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে।
২১. বাহাছের বিষয়সমূহের প্রত্যেকটির ব্যাপারে বাহাছের ১৫ দিন পূর্বেই প্রত্যেকেই তার বিপরীত পক্ষের কাছে দলীলভিত্তিক লিখিত সিদ্ধান্ত বা ফায়সালা পেশ করতে হবে এবং যারা বাহাছে অংশগ্রহণ করবে তারা স্বয়ং নিজ হাতে তাতে নাম ও ঠিকানাসহ স্বাক্ষর করবে।
২২. বাহাছের মজলিসে প্রথমেই উভয় পক্ষ বাহাছের পূর্বলিখিত আলোচনার বিষয়সমূহ হুবহু জনসম্মুখে পাঠ করে শুনাবেন। অতঃপর উক্ত পঠিত কপি পূর্বের লিখিত কপির সঙ্গে গরমিল আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য নিজ নিজ কপি অপর পক্ষের নিকট জমা দিবেন।
২৩. চুক্তিনামায় উল্লিখিত বিষয়সমূহের বাইরে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
২৪. যদি চুক্তিনামায় স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিবর্গের কেউ বাহাছে রাজী না হয়, বরং তাদের প্রতিনিধি পাঠায় তবে তাদেরকে এই মর্মে লিখিত দিতে হবে যে, ‘আমাদের প্রতিনিধি বাহাছে পরাস্ত হলে আমরাও বাহাছে পরাস্ত হলাম’।
২৫. চুক্তিনামায় আবদ্ধ হওয়ার পর যথাসময়ে যদি কোন পক্ষ উপস্থিত না হয় অথবা কোন বাহানা দেখিয়ে অনুপস্থিত থাকে, তাহলে অনুপস্থিত পক্ষই পরাজিত বলে পরিগণিত হবে এবং বাহাছের যাবতীয় খরচ বহন করতে বাধ্য থাকবে।
২৬. যদি কোন কারণে বাহাছের নির্ধারিত তারিখ কোন পক্ষ পরিবর্তন করতে চায়, তবে কমপক্ষে এক মাস পূর্বে বিপরীত পক্ষকে জানাতে হবে।
২৭. বাহাছে যারা পরাস্ত হবে তারা বিজয়ীপক্ষের নিকট ভুল স্বীকার করে তওবা করবে ও জনসম্মুখে প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা দিয়ে সমস্ত কিছু মেনে নিতে বাধ্য থাকবে।
২৮. বাহাছকারী উভয় পক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জামানত হিসেবে প্রত্যেক পক্ষের মূল আলোচকের নিকট অবশ্যই জমা রাখতে হবে। যে পক্ষ বাহাছে পরাজিত হবে তার জমাকৃত টাকা বিজয়ী পক্ষ আনুষাঙ্গিক খরচ হিসেবে পাবেন।
২৯. বাহাছের চূড়ান্ত শর্তসমূহ উভয়পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ টাকার) ট্যাম্পে লিখিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
৩০. উভয়পক্ষ নিজস্ব সিলসিলার কোন কিতাব থেকে দলীল দিতে পারবে না, তার পূর্ববর্তী ও নির্ভরযোগ্য কিতাব হতে দলীল দিতে হবে।
৩১. যে পক্ষ দলীল বেশি পেশ করতে পারবে, সেই পক্ষের ফতওয়াই গ্রহণযোগ্য হবে এবং বিজয়ী হিসেবে গণ্য হবে।
৩২. বাহাছের কোন তৃতীয় পক্ষ থাকবে না।
৩৩. যে লিখিত বিষয়ের বাইরে আলোচনা করবে, সে আলোচনার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।