সম্মানিত হজ্জের বিধিবিধান (১)

সুওয়াল: সম্প্রতি এক কুখ্যাত মাসকি পত্রকিায় হজ্জরে অজুহাতে ছবি তোলাকে বধৈ বলা হয়ছে।ে এক্ষত্রেে দলীল হসিবেে পবত্রি সূরা বাক্বারা শরীফ ১৭৩, পবত্রি সূরা আনআম শরীফ ১১৯ ও ১৪৫ নং পবত্রি আয়াত শরীফ উল্লখে করে বলা হয়ছেে য,ে তীব্র প্রয়োজন হারাম বস্তুকে সাময়কি হালাল করে দয়ে। তাই হজ্জরে ফরয আদায় করতে হারাম ছবি তোলা সাময়কি বধৈতা পাব।ে নাউযুবল্লিাহ!
জাওয়াব: উক্ত পত্রকিার বক্তব্য সর্ম্পূণরূপে পবত্রি কুরআন শরীফ ও পবত্রি সুন্নাহ শরীফ উনাদরে খলিাফ বা বরিোধী ও কুফরী হয়ছে।ে কারণ হারাম বা ফাসকিী কাজ করে তথা ছবি তুল,ে বর্পেদা হয়ে হজ্জ করা যাবনো। এটা সরাসরি পবত্রি কুরআন শরীফ উনার পবত্রি আয়াত শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্ট উল্লখে রয়ছে।ে যমেন পবত্রি সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৯৭ নং পবত্রি আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়ছে-ে
فَمَنْ فَرَضَ فِيْهِنَّ الْـحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوْقَ وَلَا جِدَالَ فِى الْـحَجِّ ۗ وَمَا تَفْعَلُوْا مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللّٰـهُ ۗ وَتَزَوَّدُوْا فَاِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوٰى ۚ وَاتَّقُوْنِ يَا اُولِى الْاَلْبَابِ.

র্অথ: “যার প্রতি হজ্জ ফরয সে যনে হজ্জ পালনকালে অশ্লীল-অশালীন কাজ না করে এবং কোন প্রকার ফাসকিী কাজ না করে এবং ঝগড়া-ববিাদ না কর।ে আর তোমরা যে নকে কাজ করো তা মহান আল্লাহ পাক তনিি জাননে। তোমরা পাথয়ে সংগ্রহ করো। নশ্চিয়ই উত্তম পাথয়ে হচ্ছে তাক্বওয়া।” (পবত্রি সূরা বাক্বারা শরীফ: পবত্রি আয়াত শরীফ ১৯৭)
বলার অপক্ষো রাখে না, ছবি তোলা ও বর্পেদা হওয়া প্রকাশ্য ফাসকিী ও অশ্লীল-অশালীন কাজ। উক্ত হারাম কাজ আমভাবে সকলরে জন্য নষিদ্ধি থাকা সত্বওে হজ্জরে ফরয পালনকারীদরে জন্য খাছভাবে নষিধে করা হয়ছে।ে
কাজইে, হজ্জ করার জন্য ছবি তোলা ও বর্পেদা হওয়া ইত্যাদি হারাম কাজ করা পবত্রি কুরআন শরীফ ও পবত্রি হাদীছ শরীফ উনাদরে বধিান মোতাবকে হারাম। তাছাড়া হজ্জে মাবরূর তথা হজ্জ কবুল হওয়ার জন্য র্শতই হচ্ছে সমস্ত প্রকার হারাম কাজ থকেে বঁেচে থাকা।
শুধু তাই নয়, হজ্জ ফরয হওয়ার জন্য শুধু পাথয়ে বা র্অথ-সম্পদ থাকাই র্শত নয়। বরং আরো অনকে র্শত রয়ছে।ে তন্মধ্যে হারাম থকেে বঁেচে থাকাও একটি অন্যতম র্শত। হজ্জ ফরয হওয়ার জন্য সমস্ত র্শত র্পূণ না হওয়া র্পযন্ত কারো প্রতি হজ্জ ফরয হবে না।
মোটকথা, হজ্জ পালনকালে যখোনে সমস্ত হারাম থকেে বঁেচে থাকা র্শত করা হয়ছে,ে সইে হারাম কাজ আবার হজ্জরে জন্য বধৈ বা হলাল হয় কি কর?ে কখনই বধৈ হতে পারে না।
এরা এমন গ-র্মূখ য,ে মাসয়ালা হচ্ছে এক বষিয়ে আর দলীল দয়িছেে অন্য বষিয়।ে তাহচ্ছ,ে যখন কউে হালাল খাদ্যরে ব্যবস্থা করতে চরমভাবে নরিুপায় হয়ে যায় অথবা কউে ৩ দনি অভুক্ত বা না খয়েে থাকে তখন জীবন বাঁচানোর তাগদিে তার জন্য আবশ্যকি পরমিাণ হারাম খাদ্য গ্রহণ করাটা মুবাহ হয়। কন্তিু তা বধৈ বা হালাল হয়ে যায়না। সটোই সুওয়ালে উল্লখেতি পবত্রি আয়াত শরীফ সমূহ উনাদরে মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়ছে।ে
যমেন পবত্রি সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৭৩ নং পবত্রি আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়ছে-ে
اِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ وَمَا اُهِلَّ بِه لِغَيْرِ اللّٰـهِ ۖ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا اِثْمَ عَلَيْهِ ۚ انَّ اللّٰـهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
র্অথ: নশ্চিয়ই মহান আল্লাহ পাক মৃত প্রাণী, রক্ত, শূকররে গোশত এবং মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্যরে নামে যবাইকৃত পশুকে খাদ্যবস্তু রূপে হারাম ঘোষণা করছেনে। কন্তিু যে অনন্যোপায় অথচ অন্যায়কারী অথবা সীমালঙ্ঘণকারী নয় তার জন্য কোন গুনাহ হবে না। মহান আল্লাহ পাক তনিি অত্যন্ত ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (পবত্রি সূরা বাক্বারা শরীফ: পবত্রি আয়াত শরীফ ১৭৩)
উক্ত পবত্রি আয়াত শরীফ উনার তাফসীর বা ব্যাখ্যায় সুপ্রসদ্ধি ও নর্ভিরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে মাযহারীতে উল্লখে রয়ছেে য,ে যারা ক্ষুর্ধাতরে কারণে অনন্যোপায় (সীমালঙ্ঘন না কর)ে হারাম বস্তু ভক্ষণ করে তাদরে জন্য কোনো গুহনাহ হবে না। কনেনা তারা অন্যায়কারী নয়, আর এমতাবস্থায় খাদ্য আস্বাদনও তাদরে উদ্দশ্যে থাকে না। উদ্দশ্যে থাকে শুধুমাত্র জীবন বাঁচানো। এ রকম নরিুপায় অবস্থায় যতটুকু খাদ্য গ্রহণ করলে মৃত্যুর আশঙ্কা রোধ হয়, ততোটুকুই গ্রহণ করা মুবাহ। এর অতরিক্তি নয়। এক্ষত্রেে হারাম বস্তুগুলো হালাল বলা কুফরী হবে বরং মুবাহ বলতে হবে মাজুর হসিবে।ে
অনুরূপ পবত্রি সূরা আনআম শরীফ উনার ১১৯ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়ছে-ে
وَمَا لَكُمْ اَلَّا تَأْكُلُوا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللّٰهِ عَلَيْهِ وَقَدْ فَصَّلَ لَكُمْ مَا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ اِلَّا مَا اضْطُرِرْتُمْ اِلَيْهِ
র্অথ: যে পশুর উপর (যবহে কাল)ে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক উচ্চারতি হয়ছেে তা হতে না খাওয়ার ব্যপারে তোমাদরে কি কারণ থাকতে পার?ে অথচ মহান আল্লাহ পাক তনিি বস্তিারতি ববিরণ দয়িছেনে যগেুলো তোমাদরে জন্য হারাম করছেনে। কন্তিু যখন তোমরা নরিুপায় হয়ে যাও তখন হারাম বস্তুগুলোর মাধ্যমে জীবন রক্ষা করতে পারো।”
উক্ত পবত্রি আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় তাফসীরে মাযহারীতে উল্লখে রয়ছে,ে যখন জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে তখন জীবন রক্ষার জন্য হারাম বস্তু ভক্ষণ করা যতেে পার।ে হারাম তখনও হারামই থাক।ে কন্তিু জীবন রক্ষার অত্যাবশ্যক তাগদিে তখন হারাম ভক্ষণ করলে গুনাহ হবে না মুবাহ হসিবে।ে
একইভাব,ে পবত্রি সূরা আনআম শরীফ উনার ১৪৫ নং পবত্রি আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়ছে-ে
قُلْ لَا أَجِدُ فِي مَا اُوحِيَ الَيَّ مُحَرَّمًا عَلٰى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا اَنْ يَكُوْنَ مَيْتَةً اوْ دَمًا مَسْفُوحًا اَوْ لَحْمَ خِنْزِيرٍ فَانَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا اُهِلَّ لِغَيْرِ اللّٰـهِ بِهِ ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
র্অথ: বলে দনি, আমার প্রতি যে ওহী মুবারক নাযলি হয়ছে,ে উনার মধ্যে লোকরো যা আহার করে তারমধ্যে হারাম কছিুই আমি পাই না মৃত, প্রবাহমান রক্ত, শূকররে গোশত ব্যতীত। কনেনা এসব অপবত্রি অথবা অবধৈ মহান আল্লাহ পাক তনিি ব্যতীত অন্যরে নাম নয়োর কারণ।ে তবে কউে অবাধ্য না হয়ে এবং সীমালঙ্ঘণ না করে তা গ্রহণে বাধ্য হলে আপনার প্রতপিালক তনিি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
উক্ত পবত্রি আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লখে রয়ছে-ে فمن اضطر র্অথ: হারাম ভক্ষণে বাধ্য হলে غير باغ র্অথ: অবাধ্য না হয়ে ولا عاد র্অথ: সীমালঙ্ঘন না কর।ে র্অথাৎ জীবন রক্ষার জন্য প্রবৃত্তরি অনুসরণ না করে অবাধ্যতার উদ্দশ্যে না নয়িে হারামকে হালাল মনে না করে এবং সীমালঙ্ঘন না করে ও প্রয়োজন অনুযায়ী হারাম বস্তু গ্রহণ করতে পারে মুবাহ হসিবে।ে
উল্লখ্যে, সম্মানতি দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল সমূহ ও হারাম সমূহ স্পষ্ট র্বণতি হয়ছে।ে তাই কোন হারাম কখনো হালাল হবে না তদ্রুপ কোন হালালও কখনো হারাম হবে না। আর হজ্জরে বষিয়টি জীবন বাঁচানোর মতো কোনো বষিয় নয়। তাই হজ্জরে ক্ষত্রেে তাদরে সইে অজুহাত মোটইে গ্রহণযোগ্য নয়, বরং সর্ম্পূণরূপইে পরত্যিাজ্য।
যার প্রমাণ তাদরে মুরুব্বী তথাকথতি শাইখুল হাদীছ আজজিুল হক নজিওে। যমেন সে তার লখিতি ‘আল কুরআনরে দৃষ্টতিে মহলিাদরে র্পদা’ নামক বইয়রে ৫৬ পৃষ্ঠায় কি লখিছেে দখেুন- “র্বতমানে হজ্জ করতে মহলিাদরে যহেতেু র্পদার ক্ষতি হয়, তাই মহলিাদরে উপর হজ্জ ফরয হল,ে বদলী হজ্জ করানো চাই। কারণ এই হজ্জরে ন্যায় বরকতময় ছফরে অনকে মহলিা দখো যায় মাহরাম পুরুষ ব্যতীত রওয়ানা হয়ে যায়, যা কবীরা গুনাহ ও নাজায়যি। অনকে সময় দখো যায় মাহরাম সাথে থাকা সত্ত্বওে মহলিারা হজ্জরে ছফরে র্পদাহীন চলে ও অনকে অবধৈ কাজে লপ্তি হয়ে থাক।ে তাই বদলী হজ্জ করানোই মহলিাদরে জন্য উত্তম। এ সর্ম্পকে আল্লামা করিমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তনিি বলনে-
لَا يَلِيْقُ بِالْـحِكْمَةِ اِيْـجَابٌ فَرْضٌ عَلٰى وَجْهٍ يَفُوْتُه فَرْضٌ اٰخَرُ.
র্অথ: এমন হকিমত বা কৌশল অবলম্বন করা উচতি হবে না, যা দ্বারা একটি ফরয আদায় করতে গয়িে অন্য একটি ফরয ছুটে যায়।” (রাহনুমায়ে হুজ্জাজ)
তাদরে উক্ত মুরুব্বীর মতে একজন মহলিার যদি টাকা থাকার পরও বর্পেদা হওয়ার আশঙ্কায় হজ্জে যাওয়া না যায় তবে পুরুষরে টাকা থাকার পরও হারাম কাজ তথা ছবি তোলা, বর্পেদা হওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্বে তার উপর হজ্জ ফরয হবে কি করে বা সে হজ্জে যাবে কভিাব?ে
তাছাড়া খাছ লোক ও আম লোকরে মাসয়ালা তো এক রকম নয়। আম লোকরে জন্য যটো ছওয়াবরে কাজ খাছ লোকরে জন্য সটো গুনাহরে কারণ। কাজইে আম লোক র্সবদাই ছবি তোল,ে বর্পেদা হয় বা হারাম কাজ কর,ে তাই তারা যদি ছবি তুলে বর্পেদা হয়ে হজ্জ কর;ে তাদরে মাসয়ালা আলাদা। কন্তিু খাছ লোকরে জন্য র্অথাৎ আলমি-উলামা, পীর-মাশায়খে বা হাদীদরে জন্য কখনোই ছবি তুলে বর্পেদা হয়ে হজ্জ করা জায়যি নইে।
অতএব, পবত্রি কুরআন শরীফ ও পবত্রি সুন্নাহ শরীফ উনাদরে দৃষ্টতিে যটো হারাম সটো পবত্রি মক্কা শরীফ-পবত্রি মদীনা শরীফসহ সমগ্র বশ্বিরে মৌলবীরা একমত হয়ে জায়যি বললওে তা কখনই জায়যি হবে না, হতে পারে না।
বশিষে দ্রষ্টব্য: ছবি তুলে ও বর্পেদা হয়ে হজ্জ করা যাবে না, এ সর্ম্পকে বস্তিারতি জানতে হলে যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসকি আল বাইয়্যনিাত শরীফ ২১৭ ও ২৫৪তম সংখ্যার সুওয়াল-জাওয়াব বভিাগ পাঠ করুন।