দুনিয়াবী হায়াতে জিন্দেগীর প্রত্যেকটা মুহূর্ত তো অবশ্যই এমনকি পরকালে গিয়েও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশী মুবারক প্রকাশ করতে থাকতে হবে।

উম্মতদের কতক্ষণ বা কতদিন পর্যন্ত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ট ঈদ পালন তথা খুশী মুবারক প্রকাশ করতে হবে।
এই বিষয়ে অনেকে মনে করে থাকে হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য শুধূমাত্র ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ একদিন খুশী প্রকাশ করলেই হবে। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে তাদের এই ধারণা ভুল। নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার জন্য খুশী মুবারক তথা ঈদ পালন করা শুধুমাত্র ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ একদিনের সাথে সংশ্লিষ্ট না। একজন উম্মতের জন্য এই খুশী প্রতিটা সেকেন্ড এর খুশী। আর এই খুশী মুবারক অনন্তকাল ব্যাপী প্রকাশ করতে হবে। এটাই মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক। যে আদেশ মুবারক হাক্বীক্বীভাবে পালন করেছেন সাহাবা ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ।

এই বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক বলেন-
” وتعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة واصيلا
“অর্থাৎ তোমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো, তা’যীম-তাকরীম মুবারক অর্থাৎ সম্মান মুবারক করো, উনার ছানা-ছিফত মুবারক অর্থাৎ প্রশংসা মুবারক করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ সদা-সর্বদা”
(পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯) সুবহানাল্লাহ।

সুতরাং প্রমাণিত হল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশী প্রকাশ শুধুমাত্র ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ একদিন করলেই হবে না এবং এই ঈদ তথা খুশী প্রকাশ একদিনের সাথে সংশ্লিষ্টও না। এই খুশী প্রতিটা সেকেন্ড এর খুশী। আর এই খুশী মুবারক অনন্তকাল ব্যাপী প্রকাশ করতে হবে। যা করতে হবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক এর পরিপূর্ণ অনুসরণ অনুকরণ, উনার খিদমত মুবারক, সম্মান তথা তা’যীম- তাকরীম মুবারক, ছানা-ছিফত তথা প্রসংশা মুবারক এর মাধ্যম দিয়ে।