সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “নূরে মুজাসসাম” বা আপাদমস্তক নূর তার একটি উজ্জ্বল, সুস্পষ্ট, অকাট্য দলীল হচ্ছে উনার “ছায়াহীন কায়া মুবারক”। কারন অসংখ্য অনুসরনীয় ও বিখ্যাত ইমান মুস্তাহীদ, মুহাদ্দিস- ফক্বীহ, এবং আওলিয়ায়ে কিরাম উনাদের অভিমত এই যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র দেহ মুবারকের কোন ছায়া ছিলো না, কারন তিনি হচ্ছেন আপাদমস্তক নূর।
এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীস শরীফ বর্নিত আছে, এবং অসংখ্য অগনিত ইমাম মুস্তাহিদ, মুহাদ্দিসগন উক্ত হাদীস শরীফের উপর আস্থা স্থাপন করেছেন।
সুবহানাল্লাহ্ !!
উক্ত দলীল সমূহ নিম্নে পেশ করা হলো :
(১) এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাকীম তিরমীযি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ননা করেন–
ان رسول الله صلي الله عليه و سلم لم يكن يري له ظل في شمس ولاقمر
অর্থ: নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”
দলীল-
√ নাওয়াদেরুল উছুল।
(২) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, ফক্বীউল মিল্লাত, আল্লামা হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আরেকটি সনদে হাদীস শরীফ বর্ননা করেন-
وفي حديث ابن عباس قال لم يكن لرسول الله صلي الله عليه و سلم ظل ولم يقع مع الشمس قط الا غلب ضوءه ضوء الشمس ولم يقع مع سراج قط الا غلب ضوءه ضوء السراج
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না। আরো বর্নিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলোকে অতিক্রম করে যেত। আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা, উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত।”
দলীল-
√ জামউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল ২১৭ পৃষ্ঠা।
(৩) প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, হাফিজে হাদীস, রঈসুল মুহাদ্দিসিন, হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
اخرج الحكيم الترمذي عن ذكوان في نوادر الا صول ان رسول صلي الله عليه و سلم لم يكن يراي له ظل في شمس ولا قمر
অর্থ: হযরত হাকীম তিরমীযি রহমাতুল্লাহি আলাইহি ” নাওয়াদিরুল উছুল” নামক কিতাবে জাকওয়ান থেকে বর্ননা করেন, নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতেও রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”
দলীল-
√ খাছায়েছুল কুবরা ১ম খন্ড ১২২ পৃষ্ঠা ।
(৪) বিখ্যাত আলেমে দ্বীন, শায়খুল উলামা, মুহাদ্দিস , আল্লামা ইব্রাহিম বেজরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন–
وفي حديث ابن عباس قال لم يكن لرسول الله صلي الله عليه و سلم ظل ولم يقع مع الشمس قط الا غلب ضوءه ضوء الشمس ولم يقع مع سراج قط الا غلب ضوءه ضوء السراج
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না। আরো বর্নিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলোকে অতিক্রম করে যেত। আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা, উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত।”
দলীল-
√ আল মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া আলা শামায়েলে মুহম্মদীয়া ১০৫ পৃষ্ঠা।
(৫) বিখ্যাত মুহাদ্দিস, ফক্বীহ, আল্লামা হযরত ইউছুফ নবেহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে লিখেন-
وكان اذا مشي في قمر او شمس لا يظهر له ظل
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সূর্য ও চন্দ্রের আলোতে হাঠতেন তখন উনার ছায়া মুবারক পড়তো না।”
দলীল-
√ জাওয়াহিরুল বিহার ১ম খন্ড ৪৫৩ পৃষ্ঠা।
(৬) বাহরুল উলুম, শায়খুল মাশায়েখ, আল্লামা ইবনে সাবা রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ان ظله كان لا يقع علي الارض كان نورا فكان اذامشي في الشمس اوالقمر لا ينظر له ظل
অর্থ: নিশ্চয়ই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক যমীনে পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন, নূর। অতঃপর তিনি যখন সূর্য ও চাঁদের আলোতে হাঁটতেন তখন তখন উনার ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতোনা।
দলীল-
√ শেফাউছ ছুদুর।
(৭) আল্লামা সুলায়মান জামাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
لم يكن له صلي الله عليه و سلم ظل يظهر في شمس ولا قمر
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলনা। এমনকি চাঁদ এবং সূর্যের আলোতেও উনার ছায়া মুবারক প্রকাশ হতো না।”
দলীল-
√ ফতুহাতে আহমদিয়া শরহে হামজিয়া।
(৮) ইমামুল মুফাসসিরিন ওয়াল মুহাদ্দিসিন, হাফিজে হাদীস, আল্লামা ইবনে জাওজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ননা করেন-
وفي حديث ابن عباس قال لم يكن لرسول الله صلي الله عليه و سلم ظل ولم يقع مع الشمس قط الا غلب ضوءه ضوء الشمس ولم يقع مع سراج قط الا غلب ضوءه ضوء السراج
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না। আরো বর্নিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলোকে অতিক্রম করে যেত। আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা, উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত।”
দলীল-
√ কিতাবুল ওয়াফা
(৯) হাফিজে হাদীস, মুহাদ্দিস , আল্লামা সাইয়্যিদ যুরকানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
لم يكن له صلي عليه و سلم ظل في شمس و لاقمر لانه كان نورا
অর্থ: চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না। কেননা তিনি ছিলেন নূর।
দলীল-
√ শরহে মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া।
(১০) বিখ্যাত আলেম, হযরত আল্লামা হুসাইন দিয়ার বাকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
لم يقع ظله صلي الله عليه و سلم علي الارض ولايري له ظل في شمس ولا قمر
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক জমিনে পড়তো না। এবং চাঁদ এবং সূর্যের আলোতেও উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”
দলীল-
√ খামীছ ফি আহওলে আনফুসে নাফীস
(১১) ইমামুল আল্লাম, জালালু মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
لم يقع ظله علي الارض ولايري له ظل في شمس ولا قمر قال ابن سبع لانه كان نورا قال رزين لغلبة انواره
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক মাটিতে পড়ে নাই। চাঁদ এবং সূর্যের আলোতে উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না। আল্লামা ইবনে সাবা রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু সম্পূর্ণ নূর ছিলেন, সেহেতু উনার ছায়া মুবারক ছিলো না। হযরত ইমান রজীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, অবশ্যই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সমস্ত কিছুকে ছাড়িয়ে যেত।”
দলীল-
√ আনমুযাজুল লবীব ফী খাছায়েছিল হাবীব- দ্বিতীয় বাব- চতুর্থ অধ্যায় ।
(১২) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, শায়খুল উলামা, শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ونبود مر أنحضرت را صلي الله عليه و سلم سايه نه در افتاب ونه قمر
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক চাঁদ ও সূর্যের আলোতে দেখা যেত না।”
দলীল-
√ মাদারেজুন নবুওয়াত- ১ম খন্ড- ১ম অধ্যায় ।
(১৩) ইমামুল জলীল, মুহাদ্দিসুশ শহীর, আল্লামা ইমাম কাজী আয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
وما ذكر من انه لا ظل تشخصه في شمس ولاقمر لانه كان نورا
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরের দেহ মুবারকের ছায়া মুবারক সূর্য ও চাঁদের আলোতেও পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন সম্পূর্ন নূর।”
দলীল-
√ শিফা শরীফ।
(১৪) ইমামুল আইম্মা, হাফিজে হাদীস, আহমদ বিন মুহম্মদ খতীব কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
رسول الله صلي الله عليه و سلم كي ليءے سايه نه تها دهوپ مين نه چاندني مين
অর্থ: চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না।”
দলীল-
√ মাওয়াহেবু লাদুন্নিয়া ১ম খন্ড
(১৫) তাজুল মুফাসসীরিন, ফক্বীহুল আছর, আল্লামা শাহ আব্দুল আযীজ মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
سايه ايشان بر زمين نمي افتاد
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক মাটিতে পড়তো না।”
দলীল-
√ তাফসীরে আযীযি-৩০ পারা- সূরা আদ দ্বুহা উনার তাফসীর।
(১৬) ইমামুল জলীল, সাইয়্যিদুল মুফাসসীরিন, আল্লামা মাহমূদ নাসাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قال عشمان رضي الله غنه ان الله ما اوقع ظلك علي الارض لءلا يضع انسن ان قدمه علي ذالك الظل
অর্থ: আমীরুল মু’মিনিন, হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলেছিলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক আপনার ছায়া মুবারক মাটিতে পড়তে দেন নাই। যাতে মানুষ আপনার ঐ ছায়া মুবারকে পা রাখতে না পারে।”
দলীল-
√ তাফসীরে মাদারিকুত তানযীল-সূরা নূরের তাফসীর
(১৭) ইমামুল আইম্মা, কাইয়ুমে আউয়াল, মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
اورا صلي الله عليه و سلم سايه نبود در عالم شهادت سايه هر شخص ازشخص لطيف تراست چون لطيف تري ازوي صلي الله عليه و سلم در عالم نباشد او را سايه چه صورت وارد
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না। প্রত্যেক লোকের ছায়া তার দেহ থেকে সুক্ষ্ম। যখন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাইতে আর কোন কিছু সুক্ষ্ম নয়, তখন উনার ছায়া মুবারক কি আকার ধারন করতে পারে ?”
দলীল-
√ মকতুবাত শরীফ-৩য় খন্ড- ১০০ নং মকতুব।
(১৮) বাহরুল উলুম, হযরত শায়েখ মুহম্মদ তাহের রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
من اسماءه صلي الله علي و سلم النو ر قبل من خصاءصه صلي الله عليه و سلم انه اذا مشي في ااشمس والقمر لا يظهر له ظل
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক সমূহ থেকে একটি নাম মুবারক হলো, নূর। বলা হয়, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বৈশিষ্ট্য সমূহ থেকে একটি বৈশিষ্ট্য হলো যে, নিশ্চয়ই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সূর্য ও চাঁদের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার কোন ছায়া মুবারক প্রকাশ পেত না।”
দলীল-
√ মাজমাউল বিহার
(১৯) শায়খুল উলামা, হযরতুল আল্লামা, মুহম্মদ ইউসুফ শামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেন-
الامام الحيم قال معناه لءلا يطأ عليه كافر فيكون مذلة له
অর্থ: ইমাম হযরত হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক না থাকার হিকমত এই যে, যাতে কোন বিধর্মী কাফেরেরা উনার ছায়া মুবারকের উপর পা রাখতে না পারে।”
দলীল-
√ সুবহুল হুদা ওয়ার রশীদ আল মারুফ বিহী ” সীরাতে শামী” ২য় খন্ড ১২৩ পৃষ্ঠা।
(২০) হাফিজে হাদীস,ওলীয়ে কামিল, হযরত ইবনে হাজর মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেন,
انه صلي الله عليه و سلم صار نورا انه كان اذا مشي في الشمس و لا يظهر له ظل
অর্থ: নিশ্চয়ই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূর ছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি যখন চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক প্রকাশ পেতো না।”
দলীল-
√ আফদ্বালুল ক্বোরা।
(২১) ফক্বীহে মিল্লাত, হযরত আল্লামা মুফতী জালালুদ্দীন আহমদ আমজাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেন-
بيشك حضور پرنور سر كار اقدس صلي الله عليه و سلم كي جسم اقدس كا سايه نهين پرتا تها جيسا كه حديث شريف ميت هي لم يكن له ظل لا في الشمس ولا في القمر يعني سورج اور چاندكي روشني مين حضور كا سايه نهين پرتا تها
অর্থ: নিশ্চয়ই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শরীর মুবারক উনার ছায়া মুবারক (জমিনে) পড়তো না । যেমন, হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক পড়তো না।”
দলীল-
√ ফতোয়ায়ে ফয়জুর রসূল ২৭ পৃষ্ঠা।
(২২) বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা শিহাবুদ্দীন খাফফাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
من دلاءل نبوته صلي الله عليه و سلم ماذكر من انه لا ظل لشخصه لشخصه اي جسده الشريف اللطيف اذاكان في شممس او قمر لانه صلي الله عليه و سلم نور
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওয়াত মুবারকের প্রমানের মধ্যে একটি প্রমান যে, উনার শরীর মুবারকের ছায়া মুবারক ছিলো না। যখন তিনি চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা তিনি (আপাদমস্তক) নূর।”
দলীল-
√ নাসীমুর রিয়াজ।
(২৩) ওলীউল কামিল, আল্লামা মুহম্মদ বিন ছিবান রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
وانه لا فييء له
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ বৈশিষ্ট্য এই যে, উনার ছায়া মুবারক ছিলো না।”
দলীল-
√ ইসআফুর রাগেবীন।
(২৪) বিখ্যাত সুফী সাধক, আল্লামা জালালুদ্দীন রুমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
چو فناشي از فقر. پيرا يه او محمد. وار بے سايه بود
অর্থ: যে ব্যক্তি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাত মুবারকে ফানা হবে, সে ব্যক্তিও উনার মত ছায়াহীন হয়ে যাবে।
দলীল-
√ মসনবী শরীফ
(২৫) আল্লামা ইমাম রাগিব ইস্পাহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ومن اسماءه صلي الله عليه و سلم النور قبل من خصاءصه صلي الله عليه و سلم انه اذا مشي في الشمس لاينظر له ظل
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক উনাদের মধ্যে একটি নাম মুবারক হলো নূর। বলা হয়েছে, উনার বৈশিষ্ট্য সমূহের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য এই, উনি রোদে গেলে উনার ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতো না।”
দলীল-
√ মুফরাদাত ৩১৭ পৃষ্ঠা ।
এছাড়া আরো হাজার হাজার কিতাব মুবারকে বর্নিত আছে যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারকের ছায়া মুবারক ছিলো না।
দলীল-
(২৬) নূরুল আবছার ফী মানাক্বেবে নাবিয়্যিল আতহার।
(২৭) শরহে মছনবী শরীফ।
(২৮) ফতহুল আজীজ।
(২৯) আনওয়ারে মুহম্মদীয়া
(৩০) মিনহাজে মুহম্মদীয়া
(৩১) মুতাউলিউল মুসাররাত
(৩২) সীরাতে হলবীয়া
(৩৩) আল ইকতেবাছ
(৩৪) কিতাবুল হামছীন ফি আহওয়ালিল নাফসিন নাফিস।
ইত্যাদি..
শুধুতাই নয় , এত বিপুল পরিমান বর্ননার কারনে ওহাবী দেওবন্দী দের প্রধান মুরুব্বী রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী এই বর্ননাকে মুতাওয়াতির বর্ননা মেনে নিয়েছে।
মৌলবী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী লিখেছে —
بتواتر ثابت ثد كه انحضرت صلي الله عليه و سسلم سايه ند اثتند- وظاهر است كه بجز نور همه اجسام ظل مي دارند
অর্থ– একথা মুতাওয়াতির বর্ননা দ্বারা প্রমানিত যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মোবারকের ছায়া ছিলো না। প্রকাশ থাকে যে নূরের দেহ ছাড়া সকল দেহের ছায়া থাকে।”
দলীল–
√ ইমদাদুস সুলুক ৮৬ পৃষ্ঠা |
এমনকি দেওবন্দী গুরু মৌলবী আশরাফ আলী থানবী বর্ননা করে–
يه بات مثهور ھے كه ھمارے حضرت صلي عليه و سلم كے سایه نهيی تها ( اسلءے كه) همارے حضرت صلي الله عليه و سلم صرتاپا نور هي نور تہے
অর্থ — একথা প্রসিদ্ধ যে , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মোবারকের ছায়া ছিলো না।কেননা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপাদমস্তক নূর তথা নূরে মুজাসসাম !”
দলীল–
√ শুকরুন নি’মাহ ৩৯ পৃষ্ঠা ।
সূতরাং বিপুল পরিমান দলীল দ্বারা প্রমান হলো, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারকের ছায়া মুবারক ছিলো না। এবং এ ব্যাপারে জগতের সকল উলামায়ে কিরামগন একমত। এখান যারা এই মতের বিরোধিতা করবে তারা হাদীস শরীফ অস্বীকার করে মুরতাদ হয়ে যাবে।
অনেকে আবার উক্ত হাদীস শরীফ জয়িফ বা মওজু বলার অপচেষ্টা করে। নাউযুবিল্লাহ !!
এত ব্যাপক সংখ্যাক উলামায়ে কিরাম, হাফিজে হাদীস গনের ঐক্যমত্যের বিপরীতে উক্ত হাদীস শরীফ জয়ীফ বা মওজু বলা চরম স্তরের গোমরাহী।
যেটা উছুলের কিতাবে বলা হয়েছে-
فان الحديث يتقوي بتلقي الاءمة بالقبول كما اشر اليه الامام التر مذي في جامعه وصرح به علماءنا في الاصول
অর্থ: কোন হাদীস শরীফকে ইমামগন নিঃসংকোচে কবুল করে নেয়াই উক্ত হাদীস শরীফ খানা শক্তিশালী বা সহীহ হওয়ার প্রমান। ইমাম তিরমিযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “জামে” তে এদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আর আলেমগন তা উছুলের কিতাবে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন।”
এই উসূল অনুযায়ী আমরা দেখলাম অগনিত ইমাম মুস্তাহিদগন হাদীস শরীফের ব্যাপারে একমত। এমনকি দেওবন্দী মৌলবীদের গুরুরাও মুতওয়াতির বর্ননা হিসাবে উক্ত হাদীস শরীফ মেনে নিয়েছে।
সূতরাং এরপরও যারা বলবে, উক্ত হাদীস শরীফ খানা সহীহ নয়, তারা হাদীস শরীফের উছুল সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ।
এবার আসুন ছায়া মুবারক না থাকার কারন :
দেখুন ছায়া মুবারক না থাকার কারন হিসাবে উলামে কিরামগন যেটা বলেছেন সেটা হচ্ছে,
لا انه كان نورا
অর্থাৎ তিনি ছিলেন নূর। আর নূরের দেহের ছায়া থাকে না। সুবহানাল্লাহ্ !!!
এই মতটাও কিন্তু দেওবন্দী আশরাফ আলী থানবী এবং রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী মেনে নিয়েছে। তাদের মতেও হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারকের ছায়া না থাকার কারন হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন আপাদমস্তক নূর বা নূরে মুজাসসাম। সূতরাং নূর বিরোধীদের একটি দাঁতভাঙ্গা জবাবও এরই মাধ্যমে দেয়া হলো।
এখন যে সকল বাতিল ফির্কা এই নোটে বর্নিত উক্ত হাদীস শরীফকে অস্বীকার করতে চাও, তাদের কমপক্ষে তিনটা জিনিস প্রমান করে দেখাতে হবে। প্রমান করতে না পারলে তাদের কোন বক্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। তিনটা বিষয় হচ্ছে–
(১) আপনাদের এমন হাদীস পেশ করতে হবে, যেখানে সরাসরি বলা আছে, “চন্দ্র এবং সূর্যের আলোতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া দেখা যেত।
(২) অথবা, আমি যে ৩৪ জন ইমাম এবং মুহাদ্দিস, হাফিজে হাদিস উনাদের বক্তব্য দিয়েছি তাদের বিপরীতে উনাদের চাইতে বেশি গ্রহনযোগ্য কমপক্ষে ৩৫ জন মুহাদ্দিসের বক্তব্য দেখাতে হবে যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া ছিল।
(৩) অথবা, উক্ত ৩৪ জন ইমামকে উনাদের চাইতে বেশি দক্ষ ইমামের উক্তি দ্বারা অগ্রহনযোগ্য প্রমান করে দেখাতে হবে।
নাউযুবিল্লাহ !!
যদি তা পারো তবে এই বিষয়ে আপত্তি করো। অন্যথায় এই আক্বীদার বিরোধিতা করা নিঃসন্দেহে কাট্টা কুফরী হবে।