প্রসঙ্গ: “মাদরাসায় পড়া”
মুনাফিকের দল যে লিখেছে, “রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কোনো মাদরাসা শিক্ষা নাই।”
তাদের এ বক্তব্যই প্রমাণ করে যে, তারা মুনাফিক, মিথ্যাবাদী ও জাহিল। কারণ রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যদি মাদরাসা শিক্ষা নাই থাকতো তবে তিনি সারাদেশে ওয়ায মাহফিলে, জুমুয়ার বয়ানে, খানকা শরীফ-এ, তা’লীমী মজলিসে ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মাধ্যমে ওয়ায-নছীহত করেন কিভাবে? উক্ত ওয়ায নছীহতে আরবী, ঊর্দূ, ফার্সী ভাষা ব্যবহার তার তরজমা ও ব্যাখ্যা করেন কিভাবে? কাজেই উনার মাদরাসা শিক্ষা নেই একথা ডাহা মিথ্যা বৈ কিছুই নয়। তবে মুনাফিকরা যদি উনার দ্বারা একাডেমিক বা প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথা বুঝিয়ে থাকে। তবে আমরা বলবো- হযরত ছহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবিয়ীন, তাবে তাবিয়ীন, ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের অনেকেই একাডেমিক বা প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেন নাই। তাই বলে কি মুনাফিকদের মতে উনারা আলিম ছিলেন না? উনারা কি তাহলে কাদিয়ানীর মতো মনগড়া কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন? নাঊযুবিল্লাহ!
মূলত: “আলিম হতে হলে মাদরাসায় পড়তে হবে অথবা মাদরাসায় না পড়লে আলিম হওয়া যাবে না।” একথা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার কোথাও উল্লেখ আছে কি? মূলত: পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের কোথাও আলিম হওয়ার জন্য মাদরাসায় পড়াকে শর্ত করা হয় নাই। আলিম হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে ইলম অর্জন করা বা ইলমের অধিকারী হওয়া। এখন তা যে ভাবেই হোকনা কেন। মাদরাসায় পড়েও হতে পারে, উস্তাদের নিকট আলাদাভাবেও হতে পারে অথবা ইলমে লাদুন্নী বা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ইলমের মাধ্যমে সে আলিম হতে পারে।
মুনাফিকের দল যদি বৈধ সন্তান হয়ে থাকে তবে তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ রইলো তারা যেন রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সামনে এসে প্রমাণ করে দেখায় উনার মাদরাসা শিক্ষা নাই এবং তাদের মাদরাসা শিক্ষার পূঁজি কতোদূর সেটাও যেন প্রমাণ করে। তখনই বুঝা যাবে কাদিয়ানীদের দোষর কে?
সুনামগঞ্জের জাহিল, ভ-, প্রতারক ও মিথ্যাবাদী মৌলবীরা লিখেছে, “….. তিনি কোনো দিন কোনো মাদরাসায় পড়েননি, কোনো ওস্তাদের কাছে লেখা পড়া করে আলিম হননি ….তিনি ছহীহ শুদ্ধ করে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে পারেন না। (লা’নাতুল্লাহ আলাল কাযিবীন)
এর জবাবে বলতে হয় যে, আলিম হতে হলে মাদরাসায় পড়তে হবে অথবা মাদরাসায় না পড়লে আলিম হওয়া যাবে না।” একথা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের কোথাও উল্লেখ আছে কি? মূলত: পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের কোথাও আলিম হওয়ার জন্য মাদরাসায় পড়াকে শর্ত করা হয় নাই। আলিম হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে ইল্ম অর্জন করা বা ইলমের অধিকারী হওয়া, এখন তা যেভাবেই হোক না কেন। মাদরাসায় পড়েও হতে পারে, উস্তাদের নিকট আলাদাভাবেও হতে পারে অথবা ইলমে লাদুন্নী বা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ইলমের মাধ্যমে তিনি আলিম হতে পারেন। সুনামগঞ্জের মিথ্যাবাদী, জাহিল মৌলবীরা যে লিখেছে, ‘তিনি কোনো উস্তাদের কাছে লেখা পড়া করেননি …।” তাদের এ বক্তব্যও ডাহা মিথ্যা। যাহিরীভাবে তিনি অনেকের কাছেই পড়াশুনা করেছেন। তবে উনার যাহিরী বাতিনী উভয়দিকের মূল উস্তাদ বা শায়খ হচ্ছেন ফুরফুরা শরীফ সিলসিলার অন্যতম খলীফা বুযূর্গ ও আলিমে দ্বীন ঢাকা আলিয়া মাদরাসা উনার সম্মানিত মুফাসসির, মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ ও আদিব হযরতুল আল্লামা মাওলানা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানূপূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি যাত্রাবাড়ীর পীর ছাহেব হিসেবে মাশহূর।
সর্বশেষে সুনামগঞ্জের গর্ধবরূপী জাহিল মৌলবীরা লিখেছে, “….. তিনি ছহীহ শুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে পারেন না। আবার কোনো কোনো জাহিল মৌলবী বলে তিনি কিতাব পড়তে পারেন না। নাঊযুবিল্লাহ!
মূলত: আরবীতে একটি প্রবাদ রয়েছে,
المرء يقيس على نفسه
অর্থাৎ প্রত্যেকেই অন্যকে নিজের মতো ধারণা করে।”
এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা বর্ণিত রয়েছে, এক বুযূর্গ ব্যক্তি ছিলেন যিনি সারা রাত ইবাদত-বন্দিগী করে বাড়ির পাশে পুকুরে গিয়ে অযূ গোসল করতেন। পাশাপাশি তার প্রতিবেশীর মধ্যে এক লোক ছিল, সে সারারাত চুরি করে সকালে এসে ঐ একই পুকুরে একই সময়ে গোসল করতো। বুযূর্গ ব্যক্তি চোরকে দেখে ধারণা করতেন সেও বুঝি আমার মতো সারা রাত জেগে জেগে ইবাদত-বন্দেগী করেছে। আর চোর বুযূর্গ ব্যক্তিকে দেখে ধারণা করতো তার মতো বোধ হয় তিনিও সারা রাত চুরি করেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ মিনাল কাযিবীন)
কাযযাবগংদের অবস্থাও হয়েছে ঠিক তাই। তারা যেহেতু নকল করে পাশ করার কারণে কিতাবের ইবারত ঠিকমতো পড়তে পারে না এবং অর্থও বুঝে না, যার ফলে ভুল ফতওয়া দেয় এবং পবিত্র সূরা ক্বিরআত শরীফ, দোয়া-দরূদ লজ্জাজনকভাবে অশুদ্ধ ও ভুল পড়ে তাই অন্যকেও সেরূপ ধারণা করছে। যাদের নিজেদের পবিত্র সূরা-ক্বিরআত শরীফ, পবিত্র দোয়া-দরূদ শরীফ অশুদ্ধ ও ভুল তাদের নিকট তো ছহীহ শুদ্ধ পবিত্র সূরা ক্বিরআত শরীফ ও পবিত্র দোয়া দরূদ শরীফ অশুদ্ধ ও ভুল বলেই মনে হবে। তারা যদি সত্যবাদীই হতো তাহলে প্রমাণ পেশ করলো না কেন যে অমুক পবিত্র সূরা শরীফ বা পবিত্র দোয়া-দরূদ শরীফ তিনি এভাবে পাঠ করেছেন। অথচ তা এভাবে হবে। তখনই মূলত বুঝা যেত যে কাযযাবগংরা কতো নাম্বার নকলবাজ ক্বারী।
মূলত: কাযযাবগং তথা ওহাবী, খারিজী, জামায়াতী, তাবলীগী লা-মাযহাবী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বহু পূর্বেই চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়েছিলো যে, শুধু আরবী কিতাব কেন উর্দূ, ফার্সী, হিন্দি, ইংরেজী, বাংলা যেকোনো কিতাবই হোকনা কেন রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পাঠ করবেন। তবে শর্ত হচ্ছে, কাযযাবগংদেরকেও আরবী, উর্দূ, ফার্সী, হিন্দি, ইংরেজী কিতাব পাঠ করে শুনাতে হবে এবং তাদের আক্বীদা ও আমলের দলীল পেশ করতে হবে। তারা মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হলে রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট তওবা করে বাইয়াত হয়ে যেতে হবে। আর তা হবে রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে প্রকাশ্যে ও জনসম্মুক্ষে। যদি সাহস থাকে ও যোগ্যতা থাকে তবে কাযযাবগং যেন আমাদের এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে।
হেমায়েতুদ্দীন তার “……ভ্রান্ত মতবাদ” নামক ভ্রান্ত রেসালায় লিখেছে, “তিনি নিয়মতান্ত্রিক লেখা-পড়া করা কোন আলিম নন।”
মিথ্যাচারিতার খ-নমূলক জবাব
উক্ত বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, হেমায়েত উদ্দীনেরই আরেক ভাই মতিঝিল জামিয়া দ্বীনিয়া মাদরাসার শিক্ষক সুলাইমান তার লিখিত ‘আদ্ব দ্বীন’ নামক রেসালায় লিখেছে, (“মাওলানা রুকুনুদ্দীন (ছাহেব) উনার নিকট ৃ.. নাহু ছরফ ও আরবী ভাষা জ্ঞান অর্জন করেছেন …………) অর্থাৎ তাদের একজনের বক্তব্যই অপরজনকে ডাহা মিথ্যাবাদীরূপে সাব্যস্ত করেছে। অর্থাৎ হেমায়েত উদ্দীনের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, সুলাইমান ডাহা মিথ্যাবাদী। অপর দিকে সুলাইমানের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, হেমায়েত উদ্দীন ডাহা মিথ্যাবাদী। কারণ একজন বলেছে, “……… লেখাপড়া করা কোন আলিম নন।” অর্থাৎ তার কথা মতে রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আরবী লাইনে কোন পড়া-লিখাই করেননি। অপর দিকে সুলাইমান অকপটে স্বীকার করলো যে, তিনি “……. নাহু, ছরফ ও আরবী ভাষা জ্ঞান অর্জন করেছেন।” অর্থাৎ তার কথা মতে, রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যে কোন কিতাব পড়া বা পড়ানোর মত যোগ্যতা রয়েছে। কারণ একটা সাধারণ লোক একথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করবে যে, যে ব্যক্তির আরবী ব্যাকরণ ও ভাষার উপর রয়েছে সে ব্যক্তি যে কোন কিতাবের ইবারত পড়ার ও তার তরজমা করার ক্ষমতা রাখেন। এটা মূলতঃ তাদেরই স্বীকারোক্তি। সুতরাং যারা মিথ্যার আশ্রয় নেয় তাদের কথা দু’রকম হওয়াই স্বাভাবিক।
এখানে তাদের আরেকটি বিষয় জেনে রাখা দরকার যে, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি শুধু যে আরবী ব্যাকরণ ও ভাষার উপর দক্ষতা রাখেন তা নয় বরং তিনি সাথে সাথে উর্দূ, ফার্সী হিন্দিসহ বহু ব্যাকরণ ও ভাষার উপর পূর্ণ দক্ষতা রাখেন। উনার ওয়াজ শরীফ ও মাসিক আল বাইয়্যিনাতই তার বাস্তব প্রমাণ।
দ্বিতীয়তঃ বলতে হয় যে, আলিম হতে হলে বর্তমান প্রচলিত মাদরাসা সিষ্টেমেই পড়া-লেখা করতে হবে অথবা বর্তমান প্রচলিত মাদরাসায় না পড়লে যে আলিম হওয়া যাবেনা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে-এর একটি দলীলও কি সে পেশ করতে পারবে? ক্বিয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও সে এরূপ একটি দলীলও পেশ করতে পারবেনা।
মূলতঃ যদি বলা হয় যে, নিয়মতান্ত্রিক বা প্রতিষ্ঠানিকভাবে তথা মাদরাসায় না পড়লে আলিম হওয়া যাবেনা। তবে তাদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা কেউ আলিম ছিলেন না। কারণ উনারা নিয়মতান্ত্রিক বা প্রাতিষ্ঠানিক তথা প্রচলিত মাদরাসায় পড়েননি। অনুরূপ তাবিয়ীন, তাবে তাবিয়ীন যেমন হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম যুফার রহমতুল্লাহি আলাইহি সহ চারশত হিজরীর পূর্ব পর্যন্ত যত ইমাম-মুজতাহিদ ছিলেন তারা কেউ আলিম ছিলেননা। কারণ চারশত হিজরী পর্যন্ত পৃথিবীতে কোন প্রচলিত মাদরাসা ছিলনা। তবে কি তারা মনে করে যে, যারা প্রচলিত মাদরাসায় পড়েছে তারাই শুধু আলিম। আর যারা প্রচলিত মাদরাসায় পড়েনি তারা আলিম নন। নাউযুবিল্লাহ!
মূলকথা হলো, সম্মানিত শরীয়ত আলিম হওয়ার জন্যে প্রচলিত মাদরাসায় পড়াকে শর্ত করেনি। বরং ইলম অর্জন করাকে শর্ত করেছে। শরীয়ত সম্মত যে কোন পদ্ধতিতেই তা অর্জন করা যেতে পারে। বস্তুতঃ যদি ফতওয়ার দৃষ্টিতে বলতে হয় তবে বলতে হবে যে, প্রচলিত মাদরাসা সিষ্টেম হচ্ছে বিদয়াত, যদিও তা বিদয়াতে হাসানা। কারণ, খাইরুল কুরুনে মাদরাসার এরূপ সিষ্টেম বা পদ্ধতি ছিলনা। রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, তাজুল মুফাসসিরীন রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক খাছ সুন্নতী কায়দায় ইলমের অধিকারী করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেরূপ আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ইলমে ফিক্বহ বা জাহির ও ইলমে তাছাউফ বা বাতিন অর্জন করেছেন। তদ্রুপ রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিও যাত্রাবাড়ীর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট ইলমে ফিক্বহ বা জাহির অর্থাৎ পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর, ফিক্বহ ইত্যাদি ও ইলমে তাছাউফ বা বাতিনী ইলম অর্জন করেছেন। যিনি একজন প্রখ্যাত ও প্রসিদ্ধ তাফসীর, পবিত্র হাদীছ শরীফ ও ফিক্বহ বিশারদ ছিলেন। ঢাকা আলিয়া মাদরাসার একজন স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা ওস্তাদ ও আলিমে দ্বীন ছিলেন।
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার জাহিরী ও বাতিনী উভয় প্রকার ওস্তাদই রয়েছেন। সুতরাং হেমায়েত উদ্দীনের উক্ত বক্তব্য সবৈব মিথ্যা।