সম্মানিত ইসলামী খিলাফত মুবারক উনার গুরুত্ব এবং নির্বাচন, ভোট, গনতন্ত্রের আহকাম সম্পর্কে

সম্মানিত ইসলামী খিলাফত মুবারক উনার গুরুত্ব এবং নির্বাচন, ভোট, গনতন্ত্রের আহকাম সম্পর্কে

فَضَائِلِ خلافة الاسلامية واحكام التصويت والاانتخاب والديمقراطية
اَلْحَمْدُ لِله نَحْمَدُه وَنَسْتَعِيْنُه وَنَسْتَغْفِره وَ نُؤْمِنُ بِه وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْهِ وَنَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ اَنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّئاتِ اَعْمَالِنَا مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَه وَمَنْ يُّضْلِلْهُ فَلَا هَادِىَ لَه وَنَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه وَنَشْهَدُ اَنَّ سَيِّدَنَا نَبِيَّنَا حَبِيْبَنَا شَفِيْعَنْا مَوْلنَا مُحَمَّدً عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
اَمَّا بَعْدُ فَيَا اَيُّهَا النَّاس رَحِمَكُمُ الله فَاعْلَمُوْا وَاسْمَعُوْا خُطْبَتِىْ بِاْلَجَنانْ خُطْبَةٌ الْيَوْمَ فِىْ فَضَائِلِ خلافة الاسلامية واحكام التصويت والاانتخاب والديمقراطية
فَقَدْ قَالَ اَللهُ تَعَالٰى فِىْ كَلَامِهِ الْمَجِيْدِ: وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً
قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ مُجَدَّعٌ يَقُودُكُمْ بِكِتَابِ اللّٰهِ فَاسْمَعُوْا لَه وَأَطيْعُوْا
وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَىٰ لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّن بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا ۚ يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا ۚ وَمَن كَفَرَ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
قال النبي صلى الله عليه وسلم يَا ابْنَ حَوَالَةَ إِذَا رَأَيْتَ الْخِلَافَةَ قَدْ نَزَلَتْ أَرْضَ الْمُقَدَّسَةِ فَقَدْ دَنَتْ الزَّلَازِلُ وَالْبَلَابِلُ وَالْأُمُورُ الْعِظَامُ وَالسَّاعَةُ يَوْمَئِذٍ أَقْرَبُ مِنْ النَّاسِ مِنْ يَدِي هَذِهِ مِنْ رَأْسِكَ
وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلاَئِفَ الأَرْضِ وَرَفَعَ بَعْضَكُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَاتٍ لِّيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ إِنَّ رَبَّكَ سَرِيعُ الْعِقَابِ وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
عن انس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول اله صلى الله عليه وسلم ويل الامتى من علماء السوء يتخذون هذا العلم تجارة يبيعونها من امراء زما نهم ربحا لانفسهم لااربح الله تجارتهم
ان الحكم الا لله.ان القوة لله جميعا.
عن زيتد بن حدير رحمة الله عليه قال قال لى عمر رضى الله تعالى عنه هل تعرف ما يهدم الاسلام قال قلت لا قال يهدمه زلة العالم وجدال المنافق بالكتاب وحكم الائمة المضلين
قاتلوا الذين لايؤمنون بالله ولا بايوم الاخر ولايحرمون ما حرم الله ورسوله ولا يدينون دين الحق
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ.
من يبتغ غير الاسلام دينا فلن يقبل منه وهو فى الا خرة من الخسرين.
بَارَكَ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ فِىْ الْقُرْانِ الْعَظِيْم وَنَفَعَنْا اِيَّاكُمْ بِالْايَاتِ وَ الذِّكْرِ الْـحَكِيْم اِنَّه تَعَالٰى جَوَادٌ كَرِيْـمٌ مَلِكٌ بَرُّ رَّؤُفُ رَّحِيْم.

সম্মানিত ও পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস উনার ৫ম খুতবা মুবারক উনার ভাবানুবাদ ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা মুবারক:
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা। আমরা উনার প্রশংসা মুবারক বর্ণনা করছি। উনার নিকট সাহায্য মুবারক কামনা করছি। উনার কাছে তওবা-ইস্তিগফার করছি। উনার প্রতি ঈমান মুবারক আনয়ন করছি। উনার উপরই তাওয়াক্কুল মুবারক বা ভরসা করছি। আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমাদের কুপ্রবৃত্তি ও মন্দ কাজ থেকে পানাহ চাচ্ছি।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে হিদায়েত দান করেন উনাকে কেউ গুমরাহ করতে পারে না। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন অর্থাৎ যে গুমরাহীতে দৃঢ় থাকে, তাকে কেউ হিদায়েত তথা সঠিক পথ প্রদর্শন করেনা বা করতে পারেনা।
আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি একক, অদ্বিতীয়। উনার কোন শরীক নেই। আমরা আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমাদের সাইয়্যিদ, আমাদের নবী, আমাদের হাবীব, আমাদের সুপারিশকারী, আমাদের মাওলা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ খাছ হাবীব ও খাছ রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
অতপর হে মানুষেরা! মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের উপর রহম করুন। আপনারা জেনে রাখুন এবং গভীর মনোযোগের সাথে খুতবা মুবারক শুনুন। আজকের খুতবা মুবারক সম্মানিত ইসলামী খিলাফত উনার গুরুত মুবারক এবং নির্বাচন, ভোট, গনতন্ত্রের আহকাম সম্পর্কে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আর আপনার রব তায়ালা তহান আল্লাহ পাক তিনি যখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বললেন, আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাবো।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যদি কোনো বিকলাঙ্গ কুৎসিত গোলামকেও আপনাদের আমীর বা খলীফা নিযুক্ত করা হয়। আর তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র কিতাব মুবারক অনুযায়ী আপনাদেরকে পরিচালিত করেন, তাহলে অবশ্যই আপনারা উনার কথা শুনবেন এবং উনার আনুগত্য করবেন।
আপনাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছেন ও সৎকর্ম করেছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, উনাদেরকে অবশ্যই যমীনে খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওওয়াত মুবারক দান করবেন। যেমন তিনি খিলাফত দান করেছেন উনাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন উনার সম্মানিত দ্বীন উনাকে, যা তিনি উনাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং উনাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। উনারা আমার ইবাদত করবেন এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবেন না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, হে ইবন হাওয়ালা, যখন আপনি দেখবেন সম্মাানিত খিলাফত মুবারক পবিত্র যমীনে ফেরত এসেছেন তখন ভূমিকম্প, দুর্যোগ ও এরূপ বিশাল ঘটনা অনিবার্য হয়ে পড়বে। আর তখন ক্বিয়ামত মানুষের ততটুকু কাছে চলে আসবে আমার এই হাত থেকে আপনার মাথার দুরত্ব যতটুকু।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া অন্য কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই।
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, সেসব উলামায়ে সূ’দের জন্য জাহান্নাম যারা ইলিমকে দ্বীনের ব্যবসা হিসেবে বেছে নিয়েছে, সুতরাং মহান আল্লাহ পাক পাত তিনি তাদের ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিবেন।
সমস্ত ক্ষমতা ও শক্তি একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনারই।
হযরত যায়িদ ইবনে হাদীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন আপনি কি দ্বীনের ধ্বংসকারী সম্পর্কে জানেন? আমি বললাম না। তিনি বললেন, উলামায়ে সূ’বা ধর্মব্যবসায়ী, দ্বীনের মধ্যে মুনাফিক্বী ও বিভ্রান্ত শাসক।
আপনারা জিহাদ করুন আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও হাশরের দিনের প্রতি ঈমান রাখে না, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম মনে করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য দ্বীন, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
প্রাসঙ্গিক আলোচনা: প্রসঙ্গত; সম্মানিত খিলাফত হলেন সম্মানিত ও পবিত্র সুন্নতী ধারা পক্ষান্তরে গণতন্ত্র হচ্ছে- মানব রচিত শাসন ব্যবস্থা। যার আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা মানুষের দ্বারা রচিত। মূলতঃ গণতন্ত্র শুধু মানব দ্বারাই রচিত নয় বরং তা বিধর্মীদের দ্বারা বিশেষ করে ইহুদীদের দ্বারা উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত। আর খ্রিস্টানদের দ্বারা সংস্কারকৃত শাসন পদ্ধতি। যা মহান আল্লাহ পাক পাক উনার তরফ থেকে সম্মানিত ও পবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নাযিলকৃত নয়। বরং পূর্ববর্তী যামানায় মহান আল্লাহ পাক পাক উনার তরফ থেকে নাযিলকৃত সম্মানিত ও পবিত্র আসমানী কিতাব বিকৃত হওয়ায় অর্থাৎ নফছানিয়াতের দরুন উক্ত কিতাব বিকৃতি বা পরিত্যাগ করার পর বিধর্মীরা তাদের দেশ পরিচালনা করার জন্য, ইলাহী বিধানের পরিবর্তে নিজেরা যে সব আইন প্রণয়ন করেছিল, পরবর্তী সময় সেগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গণতন্ত্র, যা খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রীসে উৎপত্তি লাভ করেছে এবং বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
উল্লেখ্য; কোন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম, তাবে তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ভোট ও নির্বাচন করেননি ।
আরো উল্লেখ্য যে,উনারা ভোট ও নির্বাচন করেছেন এমন কোন প্রমাণও কেউ পেশ করতে পারবে না। কারণ, ভোট প্রথার উৎপত্তিই হয়েছে ইহুদী-খ্রিষ্টান তথা বিধর্মীদের দ্বারা এবং তা ইদানিংকালে আধুনিক গণতন্ত্রের নামে ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। নাউযুবিল্লাহ!
আবার ভোট দেয়া, চাওয়া যেরূপ হারাম তদ্রুপ পদপ্রার্থী হওয়াও সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হারাম। কারণ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘যে পদপ্রার্থী হয় আমরা তাকে পদ দেইনা।’ ভোট তথা নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের উৎপত্তি হয় আখেরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এর জমিনে আগমণের অনেক পূর্বে। যার প্রবর্তক হচ্ছে ইহুদী ও নাছারা। কাজেই ইসলামী শুরা পদ্ধতি থেকে নির্বাচন পদ্ধতির উদ্ভব ঘটেছে এ কথা বলা নেহায়েতই মূর্খতা ও অজ্ঞতাসূচক এবং কূফরীমূলক। তাই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে ভোটের রাজনীতি বৈধ বলাও কুফরী।
আর আপনারা যখন শাসন কাজ পরিচালনা করবেন আপনারা মানুষের মাঝে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসন করবেন ।‘নেতৃত্ব’-এর প্রার্থী হবেন না। কারণ প্রার্থী না হয়ে নেতৃত্ব প্রাপ্ত হলে আপনি এ ব্যাপারে সাহায্যপ্রাপ্ত হবেন। পক্ষান্তরে প্রার্থী হয়ে নেতৃত্ব লাভ করলে আপনার ওপরই যাবতীয় দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে। আপনি কোনো কার্যক্রম ঠিক করার পর এর বিপরীত কার্যক্রমে কল্যাণ লক্ষ্য করলে তখন যেটা ভালো সেটাই করবেন এবং পূর্ব-সিদ্ধান্তের কাফফারা আদায় করবেন’ (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
মনে রাখতে হবে, যিনি পরিপূর্ণরুপে সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ ও সম্মানিত ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদেরকে অনুসরণ করেছেন এবং সম্মানিত শরীয়ত মুতাবিক শাসন বা বিচার কার্য তথা সম্মানিত খিলাফত পরিচালনা করেছেন ছহীহ অর্থে তিনিই মুসলমানদের প্রকৃত শাসক বা খলীফা।
আবার, মুসলমান দ্বীন ইসলাম পালন করবেন আবার সাথে সাথে বেদ্বীন-বদদ্বীনদের নিয়ম-নীতিও পালন করবে তা হবেনা। মুসলমানকে শুধুমাত্র সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন-সুন্নাহ শরীফ উনাদেরকেই পরিপূর্ণ অনুসরণ করতে হবে। এর সাথে অন্য কোন নিয়ম নীতি যে মিশ্রিত, তলব বা অনুসরণ করবে সে গোমরাহ ও ক্ষতিগ্রস্থের অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ কোন ঈমানদারের পক্ষে মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নির্দেশ, নিয়ম-নীতির খিলাফ অন্য কোন নিয়ম-নীতি ও মতবাদ মেনে নেয়া যেমন নাজায়িয, ঠিক অন্য কোন নিয়ম-নীতি ও মতবাদকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সাথে মিশ্রিত করাও হারাম ও নাজায়িয। শুধু তাই নয় বরং তা সমর্থন করা বেদ্বীনদের সাথে যাহেরীভাবে মেলামিশা করা এমন কি অন্তরে সর্মথন করাও নাজায়িয এবং হারাম।
জেনে রাখা ভাল, খলীফা নিয়োগ মনোনয়ন পদ্ধতিতে হতে পারে তবে তা কস্মিনকালেও নির্বাচন নয়। কারণ সাধারণভাবে নির্বাচন বলতে বুঝায়, একাধিক পদপ্রার্থী থেকে ভোটদানের মাধ্যমে একজনকে নির্বাচিত করা। অথচ ইসলামের নামে ভোট চাওয়া বা পদপ্রার্থী হওয়া সম্পূর্ণ হারাম।
মূল কথা হলো মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনে সম্মানিত খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হোক এটা যদি কেউ চায় তবে উনাকে অবশ্যই খালিছ ঈমানদার তথা প্রতিটি ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী হতে হবে। নেককার পরহিযগার তথা প্রতিক্ষেত্রে সম্মানিত শরীয়ত উনার পাবন্দ হতে হবে এবং সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে শরয়ী পদ্ধতিতে শরীয়তর গন্ডির ভিতরে থেকেই অর্থাৎ ‘খিলাফত আলা-মিনহাযিন নুবুওওয়াহ মুবারক’ বা নুবুওওয়াতের দৃষ্টিতে খিলাফতের জন্য কোশেশ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই বেদ্বনী-বদদ্বীনী, হারাম, নাজায়িয পন্থায় কোশেশ করা যাবে না। কারণ, দ্বীন ইসলামে বোমাবাজি ও জঙ্গী তৎপরতা চালানো হারাম। বোমাবাজি, সন্ত্রাসী ও বেদ্বীনী পন্থায় কখনো সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম আসেনি এবং কস্মিণকালেও আসবেনা। অর্থাৎ গণতন্ত্র, ভোট, নির্বাচন, হরতাল, লংমার্চ, বোমাবাজী, সন্ত্রাসী এ সকল বেদ্বীনী-বদদ্বীনী ও সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী পন্থায় কখনো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আসে নাই এবং আসবেও না। বরং এগুলো সবই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতির কারণ। (মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার ১৬১তম সংখ্যা থেকে ১৭৫তম সংখ্যায় দলীলভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা কার হয়েছে।)
মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট বিতাড়িত শয়তানের অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি।
যে লোক সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
মহান আল্লাহ পাক! তিনি সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ উনার দ্বারা আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে বরকত মুবারক দান করুন। আর সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ও হিকমতপূর্ণ নছীহত উনাদের মাধ্যমে ফায়দা মুবারক দান করুন। নিশ্চয়ই তিনি অতীব দানশীল, পরম দয়ালু, মহান মালিক, কল্যাণদানকারী, অত্যন্ত স্নেহশীল, পরম করুণাময়।