পবিত্র ধর্মীয় তথা দ্বীনি শিক্ষা উনার মূল কেন্দ্রবিন্দু তথা মূল ভিত্তি হচ্ছে পবিত্র মাদরাসা, আর এই পবিত্রতম মাদরাসায় কেন রবী ঠগের লেখা গান কেন বাধ্যতামূলক হবে তা ৯৮%ভাগ মুসলমান জানতে চান ?
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
নূরে মাজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন- المدرسة بيتي
-সম্মানিত মাদরাসা হচ্ছেন আমার পবিত্রতম ঘর । সুবহানাল্লাহ ।
আমাদের এই বাংলাদেশ, যে দেশের শতকরা ৯৮% ভাগ মুসলমান , সেই সম্মানিত মুসলমান উনাদের জীবনের চেয়ে লক্ষ কোটি গুণে অধিক সীমাহীন মূল্যেবোধের দ্বীন হচ্ছেন পবিত্রতম সম্মানিত দ্বীন ইসলাম । সুবহানাল্লাহ । আর এই পবিত্রতম দ্বীন ইসলাম শিক্ষা করার ও শিক্ষা দেয়ার মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন পবিত্রতম মাদরাসা । পবিত্র মাদরাসায় কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ, পবিত্র কিয়াস শরীফ শিক্ষা দেয়া হয় । যাতে করে সম্মানিত মুসলমান উনাদের সন্তানরা আমাদের প্রিয় নবীজী, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন. খতামুন নাবিয়্যিন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হূযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম উনার পুত:পবিত্রতম আদর্শ মুবারকে আদর্শবান হতে পারে । উনার পবিত্রতম চরিত্র মুবারকে চরিত্রবান হতে পারে। নিজের জীবন কলুষমুক্ত করে ফুলের মতো জীবন গড়তে পারে । সমাজ ,দেশ ও জাতিকে কলুষ মুক্ত করে সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূয়ুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম উনার পবিত্রতম আদর্শ মুবারকে আদর্শ জাতি রুপে গঠন করতে পারে । তবেই সমাজ, দেশ ও জাতি আদর্শরুপে সারা কায়িনাতের বুকে শির উঁচু করে দাড়াতে পারে । -মূলত সম্মানিত ধর্মীয় তথা দ্বীন অর্থাৎ সম্মানিত মাদরাসা শিক্ষার ইহাই বৈশিষ্ট্য এবং মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । যা অন্য কোন শ্ক্ষিা দ্বারা কল্পনাই করা যায়না । আজ যদি ৯৮ % মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশে সর্বত্র দ্বীনি শিক্ষা চালু থাকতো, তাহলে মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ তথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আদর্শ মুবারকে নিজের জীবনকে গড়ে তুলতে পারতো, সমাজ ,দেশ ও জাতিকে আদর্শ জাতিতে পরিণত করতে পারতো । সুবহানাল্লাহ । কিন্তু আফসুস ও দু:খের বিষয় হচ্ছে এই মুসলিম অধ্যুষিত দেশে স্কুল-কলেজে যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, তা সবচে নিকৃষ্ট জাতির তর্জ-ত্বরীকা তথা আদর্শহীন ব্যক্তির প্রবর্তিত শিক্ষা। নাউযুবিল্লাহ । এর চেয়ে আরও আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হলো যে একটা লম্পট, আদর্শহীন, চরিত্রহীন, বিধর্মী, মুসলিম বিদ্বেষী, বৃটিশ দালাল, পতিতালয়ের অর্থায়নে লালিত-পালিত রবী ঠগের লিখিত গান ৯৮% মুসলিম অধ্যুষিত দেশে মুসলিম সন্তানদেরকে পাঠকরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । নাউযুবিল্লাহ। এমনকি সম্মানিত দ্বীনি শিক্ষার মূলকেন্দ্র বিন্দু পবিত্র মাদরাসা গুলোতেও । নাউযুবিল্লাহ । অথচ এই মুসলিম বিদ্বেষী রবী ঠগটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযূরপাক ছল্লাহুআলইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম জীবনী মুবারক পড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল এবং সে বলেছিল পড়তে তার ভাল লাগেনা । নাউযুবিল্লাহ ।
অতএব রবী ঠগের উত্তরসূরী ও সহোদরাদের কাছে দেশের ৯৮%ভাগ মুসলমানগণ উনাদের প্রশ্ন , উনারা জানতে চান । কেন এবং কোন উদ্দেশ্য মুশরিকটির লিখিত গান স্কুল- কলেজে এমনকি সম্মানিত দ্বীনি শিক্ষার মূল কেন্দ্র সম্মানিত মাদরাসায় তা বাধ্যতামূলক করা হবে ? এই ঘৃণ্য উদ্দেশ্যমূলক ও দূরভিসন্ধিমূলক বিষয়টিকে সকল মুসলমান উনাদের পক্ষ হতে চরম ঘৃণা ভরে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি । সরকারের উচিত হবে বিষয়টি আমলে নিয়ে অনতিবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা এবং সাথে সাথে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নাত শরীফ যাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম প্রশংসা মুবারক উল্লেখ করে ্উনার মহা পবিত্রতম আম্মাজান আলাইহিস সালাম রচনা মুবারক করে গেছেন। সুবহানাল্লাহ । সেই পবিত্র নাত শরীফ খানা স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় জাতীয় নাত শরীফ পাঠ হিসেবে বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে সরকারের কাছে জোরালোভাবে সর্বশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করছি আবেদন জানাচ্ছি । -আবু আহমদ ।