পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার নির্দেশ মুবারক মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রদান করেছেন। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসকে স্মরণে রেখে প্রত্যেক ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ রোযা রেখে শুকরিয়া প্রকাশ করেছেন। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ قَتَادَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْاِثْنَيْنِ فَقَالَ ذٰلِكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيْهِ وَيَوْمٌ بُعِثْتُ اَوْ اُنْزِلَ عَلَيَّ فِيْهِ.
অর্থ : “হযরত আবূ কাতাদা আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়াওমুল ইছলাইনিল আযীম শরীফ ও ইয়াওমুল খ¦মীস রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, এদিন (ইয়াওমুল ইছলাইনিল আযীম শরীফ) আমি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি, আর এদিনই আমার উপর ওহী বা পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ১১৬২, আবূ দাঊদ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৪২৮, সুনানে কুবরা লি বায়হাক্বী শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ৮২১৭, ইবনে খুজাইমা শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২১১৭, মুসনাদে আবি আওয়ানা : হাদীছ শরীফ নং ২৯২৬, মুসনাদে আহমদ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২২৬০৩)
উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ হতে যে বিষয়টি সুস্পষ্ট, তাহলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উপলক্ষে প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ দিবসে রোযা রেখেছেন, সেহেতু তিনি সর্বদা পরবর্তী ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ আগমনের জন্য অপেক্ষা করেছেন। অর্থাৎ তিনি সারাজীবনই উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উদযাপন করেছেন। তাই একটি মহান সুন্নত আমলকে বিদ্‘য়াত বলা মূলত বিদ‘য়াতিদেরই স্বভাব। অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করাকে যারা বিদ্‘য়াত বলে মূলত তারাই বিদ‘য়াতি। কেননা তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে একটি নতুন বিষয়ের উদ্ভাবন ঘটিয়েছে।