ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ -উনার মজলিস করা সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ,সুন্নতে খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম ও ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম।
এ প্রসঙ্গে আল্লামা হযরত শিহাবুদ্দীন ইবনে হাজার হাইছামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ কিতাব “আননি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম”-এর মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قال حضرت صديق اكبر عليه السلام من أنفق درهما على قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم كان رفيقى فى الجنة.
অর্থ: “হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে অর্থাৎ উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাতে আমার বন্ধু হবে।” সুবহানাল্লাহ!
وقال حضرت عمر بن الخطاب عليه السلام من عظم مولد النبى صلى الله عليه وسلم فقد احيا الاسلام.
অর্থ: “হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাহফিলকে অর্থাৎ যে ব্যক্তি খুশির সাথে বা খুশি প্রকাশ করে (বিলাদত শরীফ দিবসকে) বিশেষ মর্যাদা দিলো সে মূলত ইসলামকেই পুনরুজ্জীবিত করলো।” সুবহানাল্লাহ!
وقال حضرت ذوالنورین عليه السلام من أنفق درهما على قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم فكانما شهد غزوة بدر وحنين.
অর্থ: “হযরত যূননূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম খরচ করলো সে যেনো বদর ও হুনাইন যুদ্ধে শরীক থাকলো।” সুবহানাল্লাহ!
وقال حضرت كرم الله وجهه عليه السلام وكرم الله وجهه من عظم مولد النبى صلى الله عليه وسلم وكان سببا لقرائته لايخرج من الدنيا الا بالايمان ويدخل الجنة بغير حساب.
অর্থ: “হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি খুশি প্রকাশ করে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাহফিলের প্রতি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করলো সে ব্যক্তি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” সুবহানাল্লাহ!
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পরবর্তী তাবিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগে এবং তৎপরবর্তী প্রত্যেক যুগেই অনুসরণীয় ইমাম-মুজহাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই অত্যন্ত জওক-শওক ও খুশি প্রকাশ করে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল করেছেন এবং এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে যে, বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি শতাধিক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন, যিনি ইসলামের চতুর্থ খলীফা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খলীফা ও ছাত্র ছিলেন। তিনি বলেন-
وددت لو كان لى مثل جبل أحد ذهبا فانفقته على قرائة مولد النبى صلى الله عليه وسلم.
অর্থ: “আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো তাহলে আমি তা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে ব্যয় করতাম।”সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম)
আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম কিতাব উনার লিংক:
https://archive.org/stream/Al-naimat-ul-kubraAlaAl-alamarabic/Al-Naimat-ul-Kubra-Ala-Al-Alam-arabic#page/n7/mode/2up
এরপরে মাযহাবের ইমামগণও মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাহফিলের ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছেন। যেমন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
قال الامام الشافعى رحمة الله عليه من جمع لمولد النبى صلى الله عليه وسلم اخوانا وهيأ طعاما واخلى مكانا وعمل احسانا وصار سببا لقرائته بعثه الله يوم القيامة مع الصديقين والشهداء والصالحين ويكون فى جنات النعيم.
অর্থ: হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে লোকজন একত্রিত করবে, খাদ্য তৈরি করবে, জায়গা নির্দিষ্ট করবে এবং উত্তমভাবে (তথা সুন্নাহভিত্তিক) আমল করবে তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক তিনি হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ ও ছালিহীনগণ উনাদের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতুল নায়ীমে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম)
এরপরে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী হযরত ইমাম মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অর্থাৎ মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ফযীলত বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন,
من هيا طعاما لاجل قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم وجمع اخوانا و اوقد سراجا و لبس جديدا و تبخر و تعطر تعظيما لمولد النبى صلى الله عليه وسلم حشره الله يوم القيامة مع الفرقة الاولى من النبيين وكان فى اعلى عليين.
অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে খাদ্য প্রস্তুত করবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এর সম্মানার্থে মুসলমান ভাইদের একত্রিত করবে, (আলো দানের উদ্দেশ্যে) প্রদীপ বা বাতি জ্বালাবে, নতুন পোশাক পরিধান করবে, (সুগন্ধির উদ্দেশ্যে) ধূপ জ্বালাবে এবং আতর-গোলাপ মাখবে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক তিনি তার হাশর-নশর করবেন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রথম দলের সাথে এবং তিনি সে সুউচ্চ ইল্লীনে অবস্থান করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম)
এরপর মুসলমানদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি কিতাব লিখেছেন। যিনি হিজরী দশম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলতানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
قال سلطان العارفين الامام جلال الدين السيوطى قدس الله سره ونور ضريحه فى كتابه المسمى بالوسائل فى شرح الشمائل ما من بيت أو مسجد أومحلة قرئ فيه مولد النبى صلى الله عليه وسلم الا حفت الملائكة ذلك البيت أو المسجد او المحلة وصلت الملئكة على أهل ذلك المكان وعمهم الله تعالى بالرحمة والرضوان وأما المطوقون بالنور يعنى جبرائيل وميكائيل واسرافيل وعزرائيل عليهم السلام فانهم يصلون على من كان سببا لقرائة مولد النبى صلى الله عليه وسلم.
অর্থ: সুলতানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল নামক কিতাবে বলেন, “যে কোনো ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় খুশি প্রকাশ করে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয় সেখানে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম, হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম, হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম ও হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম উনারা মীলাদ শরীফ পাঠকারীর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন।”
এরপর এ উপমহাদেশে যিনি হাদীছ শাস্ত্রের ব্যাপক প্রচার-প্রসার করেছেন, ইমামুল মুফাসসিরীন ওয়াল মুহাদ্দিছীন ওয়াল ফুক্বাহা হযরত শায়খ শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
من عظم ليلة مولده بما امكنه من التعطيم والاكرام كان من الفايزين بدار السلام.
অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ দিবসকে তা’যীম করবে এবং সে উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করবে সে চিরশান্তিময় জান্নাতের অধিকারী হবে।” (ইবনু নাবাতা, আল বাইয়্যিনাত ১৫৯/৩০)
হযরত শায়খ শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছেলে উল্লেখ করেছেন,
اخبرنى سيدى الوالد قال كنت اصنع فى ايام المولد طعاما صلة بالنبى صلى الله عليه وسلم فلم يفتح لى سنة من السنين شئى اصنع به طعاما فلم اجد الا حمصا مقليا فقسمته بين الناس فرايته صلى الله عليه وسلم بين يديه هذه الحمص مبتهجا بشاشا.
অর্থাৎ “আমার শ্রদ্ধেয় পিতা আমার উদ্দেশ্যে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছর বিশেষ তাবারুকের আয়োজন করতাম। কিন্তু এক বৎসর সামান্য ভাজাকৃত বুট ব্যতীত অন্য কিছুই আয়োজন করা আমার সামর্থ্যে ছিলো না। তবুও আমি তা লোকজনের মধ্যে বিতরণ করে দিলাম। অতঃপর আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে (এমতাবস্থায়) দেখলাম যে, সেই বুটগুলো উনার সম্মুখে রয়েছে। আর তিনি (তাতে) অত্যন্ত উৎফুল্ল।” (আদ-দুররুস সামীন)
এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও মুহাক্কিক হযরতুল আল্লামা শায়খ শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার কিতাবের ৬২৪ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেন-
اے اللہ! میرا کوئی عمل ایسا نہیں ہے جسے آپکے دربار میں پیش کرنے کے لائق سمجھوں، میرے تمام اعمال میں فساد نیت موجود رہتی ہے، البتہ مجھ حقیر فقیر کا ایک عمل صرف تیری ذات پاک کی عنایت کیوجہ سے بہت شاندار ہے اور وہ یہ ہے کہ مجلس میلاد کے موقع پر میں کھڑے ہو کر سلام پڑھتاہوں اور نہایت ہی عاجزی وانکسار ی محبت وخلوص کے ساتھ تیری حبیب پاک صلی اللہ علیہ وسلم پر درود سلام بھیجتا رہا ہوں. اے اللہ! وہ کون سا مقام ہے جہاں میلاد مبارک سے زیادہ تیری خیر وبرکت کانزول ہوتا ہے! اس لئے اے ارحم الراحمین مجھے پکا یقین ہے کہ میرا یہ عمل کبھی بیکار نہ جائیگا بلکہ یقینا تیری بارگاہ میں قبول ہوگا اور جوکوئی درود وسلام پڑھے اور اس کےذریعہ دعا کرے وہ کبھی مسترد نہیں ہو سکتی
অর্থ: “আয় আল্লাহ পাক! আমার এমন কোনো আমল নেই; যা আপনার মুবারক দরবারে পেশ করার উপযুক্ত মনে করি। আমার সমস্ত আমলের নিয়তের মধ্যেই ত্রুটি রয়েছে। তবে আমি নগণ্যের শুধুমাত্র একটি আমল আপনার পবিত্র জাতের দয়ায় অনেক সম্মানিত বা মর্যাদাবান। আর সেটা হচ্ছে- পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এর মজলিস করি এবং এ মজলিসে ক্বিয়ামের সময় দাঁড়িয়ে সালাম পাঠ করি। আর একান্ত আজীজী, ইনকিসারী, মুহব্বত, ইখলাছের সাথে আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করি।
আয় আল্লাহ পাক! এমন কোনো স্থান আছে কি যেখানে মীলাদ মুবারক-এর চেয়ে অর্থাৎ বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ছলাত ও সালাম পাঠ করা থেকে অধিক খায়ের বরকত নাযিল হয়? হে আরহামুর রাহিমীন! আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমার এ আমল কখনো বৃথা যাবে না। বরং অবশ্যই আপনার পবিত্র দরবারে কবুল হবে এবং যে কেউ বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ছলাত-সালাম পাঠ করবে এবং উহাকে উসীলা দিয়ে দোয়া করবে সে কখনো মাহরূম হতে পারে না। অর্থাৎ সে অবশ্যই কবুলযোগ্য।” সুবহানাল্লাহ!
উপরের দলীলভিত্তিক বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, সকল ঈদের সেরা ঈদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য যেরূপ স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি বলেছেন এবং নিজে করেছেন। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও করেছেন এবং করতে বলেছেন, খুলাফায়ে রাশিদীন, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পালন করেছেন ও পালন করতে বলেছেন। তেমনি অনুসরণীয় ইমাম, মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং পালন করার জন্য উম্মাহকে উৎসাহ প্রদান করেছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল উপলক্ষে বেশি বেশি খরচ করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।